সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হচ্ছে ঝুম বৃষ্টি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ হলেও সকালে তুমুল বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও বেসরকারি চাকরিজীবীরা। ঢাকার আকাশ ভোর থেকেই কালো মেঘে মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বাইরে রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে। রাস্তায় গাড়ি চলে হেডলাইট জ্বেলে। তারপর নামে বৃষ্টি। অঝোর ধারায় বৃষ্টিতে এরইমধ্যে ঢাকার রাস্তায় জলজোটের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (১১ মে) রাজধানীর মিরপুরসহ বেশ কিছু জায়গাতে বৃষ্টির পানি জমেছে। ফলে কাজে-কর্মে বের হওয়া মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। এরসঙ্গে মুহুর্মুহু বজ্রপাত, বয়ে যায় জোরালো বাতাস। সকাল ৭টায় আকাশে জমতে শুরু করা মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরতে থাকে পৌন আটটার দিকে।
এর মধ্যে রাজধানীতে রাস্তায় যারা বের হয়েছেন, তারা তাড়াহুড়া করেন গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো বাতাসও বয়ে চলে। এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আজ দেশে বৃষ্টি আগের দিনের চেয়ে বাড়তে পারে। তাতে তাপমাত্রা আরও খানিকটা কমে যেতে পারে। আজ দেশের ছয় বিভাগের অনেক স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগও রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, ঢাকাসহ দেশের ১০ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। এছাড়াও দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আজ শনিবার (১১ মে) ভোর থেকেই আবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো ঝুম, কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল ৭টার পরপরই ঢাকার আকাশ কালো হয়ে সন্ধ্যার মতো রূপ নিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ হলেও সকালে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বেশ বিপাকে পড়তে দেখা গেছে শ্রমজীবী ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের। যারা কাজে বের হয়েছেন তারা ভিজে গেছেন।
আবার অনেকেই বের হতে পারেননি ঘর থেকে। আর বৃষ্টি শুরুর পরই ঢাকার সড়কে যানবাহনের চলাচলও সীমিত হয়ে পড়ে। গাড়িগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। বৃষ্টিতে বাসায় আটকে পড়া বেসরকারি চাকরিজীবী আবু তাহের টোটন বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি আকাশ অন্ধকার। এরপরই নামে ঝুম বৃষ্টি।
এজন্য বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে বের হতে পারছি না। বৃষ্টি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ সময় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন