দেশে অনলাইন জুয়া বা গ্যাম্বলিং নিয়ন্ত্রণে অন্যতম চ্যালেঞ্জ তথ্যের ঘাটতি এবং কোনো গবেষণা ও সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায়, ধারণা করা হচ্ছে, দেশে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি গ্যাম্বলিং টিম রয়েছে।’ গ্যাম্বলিং বা অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণে সবার আগে দেশে আইন প্রণয়ন জরুরি।
অনলাইন গ্যাম্বলিং (জুয়া) এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন চোখ পড়ে।
সাংবাদিকরা বিষয়টি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) মোহাম্মদ আলী মিয়ার নজরে আনলে তিনি বলেছেন, কোনো ব্যক্তির দিকে না গিয়ে আইনের মধ্যে থাকতে। তিনি বলেছেন, এই অনলাইন গ্যাম্বলিং (জুয়া) মাধ্যমে নিয়মিত দেশ থেকে ই-মানির মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে। কোনো একটি সংস্থার পক্ষে এই অনলাইন গ্যাম্বলিং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
এজন্য সব সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। রোববার (৩০ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে অনলাইন গ্যাম্বলিং অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সাবমিশন অব রিসার্চ রিপোর্ট অন চ্যালেঞ্জ অব কন্ট্রোলিং ইলিগ্যাল মানি ট্রান্সফার থ্রো মোবাইল অ্যাপস: এ স্টাডি অন অনলাইন গ্যাম্বলিং শীর্ষক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, অনলাইন গ্যাম্বলিং এর মাধ্যমে নিয়মিত দেশ থেকে ই-মানির মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে। এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কোনো একটি সংস্থার পক্ষে এই অনলাইন গ্যাম্বলিং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। অনলাইন গ্যাম্বলিং (জুয়া) নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
আইনের ধারায় নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, সিআইডিসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা ও ডিভাইস জব্দসহ অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারত। কিন্তু নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে অবৈধ অর্থ পাচারের ধারায় এখন সেটি সম্ভব হচ্ছে না।
আমরা সহজে কিছু করতে পারছি না। নতুন আইন হওয়ার পর অনলাইন গ্যাম্বলিংয়ের অভিযোগে কোনো মামলা হয়নি। অথচ অনলাইন গ্যাম্বলিংয়ে অবৈধভাবে অর্থপাচার বাড়ছে।
অনলাইন গ্যাম্বলিং (জুয়া) নিয়ন্ত্রণে এখনই অনলাইন গ্যাম্বলিং নিয়ন্ত্রণ আইন দরকার বলেও জানান তিনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন