এবার ছাগলের রশির প্যাঁচে পড়েছে ‘সাদিক এগ্রো’ খামার। ছাগলকাণ্ডে বেড়িয়ে আসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের হাঁড়ির খবর। হারান এনবিআরের পদ, সরে যেতে হয় সোনালি ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও। এরই মধ্যে গণমাধ্যমের খবরে অভিযোগ উঠে এসেছে, সাদিক এগ্রোর মালিক শাহ ইমরান হোসেন মূলত এই খামারের আড়ালে একজন গরু চোরাচালানকারী।
তিনি ও তার সিন্ডিকেট ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাইপথে নানা জাতের গরু নিয়ে আসেন দেশে। এরপর সেগুলো চড়া দামে বিক্রি করেন। মোহাম্মদপুরের বছিলায় খালের জমি দখল করে খামার নির্মাণ করায় সাদিক অ্যাগ্রোতে স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
সাদেক এগ্রোর পক্ষে কয়েকজন দাবি করেন, খালের অবৈধ জায়গার ব্যাপারে তারা কিছু জানতেন না। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আইন মেনে রামচন্দ্র খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
রামচন্দ্র খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল থেকে টিনের ঘর, রিকশা গ্যারেজসহ বিভিন্ন স্থাপনা সরিয়ে নিতে থাকে লোকজন। এ সময় তারা বলেন, ঘর ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল তাদের কাছ থেকে আদায় করতো স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
সকাল ১০টায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন বেলা ১২টায়। পরে কাগজপত্র অনুযায়ী সাদেক এগ্রোর অফিস ও ছাগলের খামার উচ্ছেদ শুরু করা হয়। এ পর্যায়ে সাদেক এগ্রোর কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, কোনো চিঠি না দিয়ে অলৌকিক ক্ষমতাবলে উচ্ছেদ করছে সিটি কর্পোরেশন।
সাদেক এগ্রোর পেছনে থাকা রিকশা গ্যারেজ ও ঘর বুলডোজার দিয়ে দুমড়ে মুচড়ে দেয় উচ্ছেদ অভিযানে থাকা কর্মীরা। এসময় সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা বলেন, জোর করে কোন কিছু উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। খালের জায়গা দখলমুক্ত করতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানায় উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
তথ্য বলছে, ওই ছাগলটি যশোরের একটি বাজার থেকে মাস দুয়েক আগে ১ লাখ টাকায় আনা হয়। তবে ঈদ সামনে রেখে সেটি বিদেশি ব্রিটল জাতের ছাগল বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করেন মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন। উচ্চবংশীয় উল্লেখ ১৫ লাখ টাকা দাম নির্ধারণ করা ছাগলের তথ্য বলছে, ওই ছাগলটি যশোরের একটি বাজার থেকে মাস দুয়েক আগে ১ লাখ টাকায় আনা হয়।
তবে ঈদ সামনে রেখে সেটি বিদেশি ব্রিটল জাতের ছাগল বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেন মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন। এরপর এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৫ লাখ টাকা, যেটি ক্রয় করেন আলোচিত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউরপুত্র মুশফিকুর রহমান ইফাত।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন