শাবনূরের স্বামীর কুকীর্তি ফাঁস

শাবনূরের স্বামীর কুকীর্তি ফাঁস

প্রায় চার বছর আগেই শাবনূরের স্বামী অনিক আরও একটি বিয়ে করেছেন। যার জেরে ভেঙে যায় ঢালিউডের এ শীর্ষ নায়িকার সংসার। এখন জানা গেল তিনি একটি নয়, বিয়ে করেছেন দুইটি।

শাবনূর জানান, একটি নয়, অনিক দুটি বিয়ে করেছে আমার অজান্তে। একটি আমাকে বিয়ের আগে, অন্যটি আমাকে বিয়ের পর।’ অর্থাৎ, এ নায়িকার অভিযোগ অনুযায়ী শাবনূরসহ মোট তিনটি বিয়ে করেছেন অনিক।

শাবনূরের এমন বক্তব্যের পর অনিক সব কথাকে মিথ্যে বলে দাবি করেন। তিনি তার স্ত্রী শাবনূরকে চ্যালেঞ্জও করেছেন। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিয়ের প্রমাণ না দিতে পারলে শাবনূরকে মাফ চাইতে হবে।’

অবশেষে অনিকের বিয়ের প্রমাণ নিয়ে হাজির হলেন শাবনূর। অস্ট্রেলিয়া থেকে মুঠোফোনে শাবনূর গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন। জানিয়েছেন অনেক অজানা কথা। যেখানে গোপনে গোপনে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি স্বামীর কাছে নির্যাতিত হয়েছেন, অন্যায়-অবিচারের শিকার হয়েছেন।

শাবনূর বলেন, নিজের ইমেজের দিকে তাকিয়ে আমার উপর হয়ে যাওয়া অন্যায়-অত্যাচার নিয়ে মুখ খুলতে চাইনি আমি। অনেক চেষ্টা করেছিলাম মিটমাট করে সংসার করার। কিন্তু কোনো পথ না পেয়ে বাধ্য হয়ে সরে যেতে চেয়েছিলাম। তাকে তালাক দিয়ে।

 



শাবনূর বলেন, ‘২০০৮ সালে ‘বধূ তুমি কার’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে অনিকের সাথে আমার পরিচয়। তখনই সে বিবাহিত। নানা প্রলোভন ও ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে আমাকে বিয়ে করার আগেই সে মৌরি ইসলাম মৌ নামে একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিল। বিষয়টি আমি জেনে গেলে বিপদে পড়ার আশঙ্কায় মৌকে সে ভয়ভীতি দেখিয়ে তালাক দেয়।

আমাকে বিয়ের পরও সে আরেকটি বিয়ে করেছে। আয়েশা আক্তার নামে এক মহিলা তার স্ত্রী। তিনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত। এটা আমার মুখের কথা নয়। এ তথ্যের প্রমাণ দেবে অনিকেরই পাসপোর্ট। সেখানে তার স্ত্রী হিসেবে আয়েশার নাম রয়েছে। আমার নয়। কথা হলো কে এই আয়েশা? বিয়ে না করলে তার নাম অনিকের স্ত্রী হিসেবে পাসপোর্টে থাকে কী করে?

অনিক প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছিলো দাবি করে শাবনূর বলেন, অনিক লোভী ও প্রতারক। আমাকে বিয়ে করে আমার সম্পত্তি দখলের ভাবনা ছিলো তার। পরিচয়ের সময় বলতো সে ইঞ্জিনিয়ার। বাড়ি-গাড়ি আছে তার। বিয়ের পরে জানলাম সে অশিক্ষিত ও বেকার। আমাকে মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছিল আমার বিষয়-সম্পত্তির জন্য। আমার কাছ থেকে কিছু পায়নি। এখন শুনছি নতুন স্ত্রীর কাছ থেকে গাড়ি হাতিয়ে নিয়েছে। ওর অনেক মন্দ কাজের প্রমাণ আমার কাছে আছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে পরিচয়ের পর ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। সেই সংসারে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।

স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গত ২৬ জানুয়ারি অনিককে তালাক দেন শাবনূর। নায়িকার সই করা নোটিশটি অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password