শীতে গরম পানিতে গোসল করলে কি সত্যিই ক্ষতি হয়?

শীতে গরম পানিতে গোসল করলে কি সত্যিই ক্ষতি হয়?
MostPlay

শীতকাতুড়ে আর ঠান্ডাজনিত রোগ যাদের পিছু ছাড়ে না তাদের জন্য গোসল একটি বাড়তি বিড়ম্বনা। শীতে গোসলের কষ্ট থেকে বাঁচতে গরম পানিতে আস্থা প্রায় সবার। হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে গরম পানি ছাড়া গোসল করার কথা যেন ভাবাই যায় না। শরীরে পানির ফোঁটা পড়লেই হয় জমে যাওয়ার উপক্রম।

এমন অবস্থায় গরম পানি ছাড়া যেন চলেই না। কিন্তু শীতে গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিজের অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো? তবে এটি যে শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, তা হয়তো জানেন না অনেকেই। শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও ঠান্ডা কমেনি। গত কয়েক দিন কুয়াশার দাপটও ছিল দেখার মতো। দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ টানা পাঁচ থেকে সাতদিন ধরে পাননি সূর্যের দেখা।

রাজধানীতে কিছুটা সময়ের জন্য রোদের দেখা মিললেও দিনের অধিকাংশ সময়ই ছিল মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। মূলত, দমকা হাওয়া বা বৃষ্টি না হলে ঘন কুয়াশা সরবে না। আর কুয়াশা না সরলে রোদ এসে শীতের দাপটও কমাতে পারবে না।

চর্মবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গরম পানি দিয়ে গোসল শরীরের জন্য কখনই ভালো কিছু বয়ে আনে না। নিয়মিত কেউ গরম পানিতে গোসল করতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তারা জানান, গরম পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল ত্বকের ফলিকলগুলোকে নষ্ট করে দেয়। পানি কুসুম গরম না হয়ে একটু বেশি গরম হয়ে গেলে তা আরও বিপজ্জনক। মাথায় অতিরিক্ত গরম পানির ব্যবহারে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া মস্তিস্কের ওপরে চাপ সৃষ্টি হয়। রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়।

তারা জানান, অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করলে মুখে ব্রন হয়। অ্যাসিডিটির সমস্যা যাদেরও তাদেরকে গরম পানি পরিহার করতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

হৃদরোগবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যারা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তাদের গরম পানি দিয়ে গোসল করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ গরম পানি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসল করলে মানসিক বিষণ্নতায় ভোগা ব্যক্তিদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

এসব কারণেই মাথায় ঠান্ডা পানির ব্যবহার করতে ও গরম পানি দিয়ে গোসলে অভ্যাস না করতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ৪-৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা কঠিন। এ ক্ষেত্রে টনসিল, সর্দি, কাশি প্রভৃতি বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়।

সেজন্য অতিরিক্ত গরমও নয় আবার ঠান্ডাও নয় প্রত্যেককে কুসুম গরম পানিতে গোসল করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে শরীরের রক্ত চলাচলের বৃদ্ধি ঘটে এবং অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হয়। শীতকালীন সর্দি-কাশি উপসর্গ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password