হিন্দু গোয়ালার দেয়া দুধ পান করে আমরা শৈশবে মক্তবে গিয়েছি। মসজিদের কলের পানি পান করে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, উপজাতি বন্ধুরা মিলে এক সাথে স্কুলে গিয়েছে। একসাথে চলতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে গেলে একই বট গাছের নিচে বিশ্রাম নিয়েছি। যার যার ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে পাশাপাশি থেকেছি। কোনো সমস্যাতো হয়নি।
যে ভাত প্রতিদিন টেবিলে আসে- তার কোন ধর্ম কেউ যাচাই করে না। কেউ খতিয়ে দেখেনা, এই ভাত এসেছে হিন্দুর না মুসলমানের জমি থেকে। রক্তের প্রয়োজন হলে মানুষ রক্তের গ্রুপ মিলায় না হিন্দুর রক্ত না মুসলিমের। যে চাঁদ আলো দেয়, যে সূর্য তাপ দেয়, যে পানি তৃষ্ণা মেটায়। যে বাতাস বাঁচিয়ে রাখে, যে মাটির উপর হাঁটি, যে বৃক্ষ অক্সিজেন দেয়, তাদের ধর্ম নিয়ে কেউ মাতামাতি করে না। কারণ এগুলো সবার। ঠিক তেমনি দেশটাও সবার। এটা যেমন মাওলানার, তেমনি ব্রাহ্মণের, যেমনি খ্রিষ্টানের, তেমনি বৌদ্ধদের, এটা যেমন উপজাতির, তেমনি আদিবাসীর, এটা যেমন রাখালের, তেমনি গায়কের, এটা যেমন শিক্ষকের, তেমনি সাধকের। এখানে মাজারও থাকুক, মন্দির ও থাকুক, মসজিদ ও থাকুক, গির্জা ও থাকুক।
কিন্তু এই সুন্দর, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ অনেকেই চায়না। শকুনের ঠোঁটে মাংস রাখার মতো সে প্রতীক্ষায় থাকে সুযোগ পেলেই শুকরের মাংস মসজিদে আর গরুর মাংস মন্দিরে ফেলে দেয়ার জন্য।
নিজের সন্তানদের বিদেশে নিরাপদে স্কুলে পড়ায় । আর অন্যের সন্তানদের বিপ্লবী হতে উষ্কানিতে যোগায়। বিপদে পড়া যেকোনো মানুষ নিজ ধর্মের হোক, অন্য ধর্মের হোক, তাকে আশ্রয় দেয়াই আমার আপনার সবার ঈমানের বড় পরীক্ষা। একটা প্রাণ বাঁচানোই জীবনের সবচেয়ে বড় জিহাদ। প্রতিটি প্রাণের সুরক্ষা আল্লাহর/ভগবান/ঈশ্বর এর দেয়া বড় আমানত। দোহাই লাগে সেই আমানত কারো উষ্কানিতে খেয়ানত করবেন না।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন