যেভাবে দূর করবেন ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার সমস্যা

যেভাবে দূর করবেন ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার সমস্যা

ঘুমের ঘোরে অনেকেই সশব্দে নাক ডাকেন। শোয়ার সময় পেশী যখন শিথিল হয়, তখন শ্বাসনালীর টিউবটি সংকুচিত হয়ে যায়। এতে নিশ্বাস প্রশ্বাসের সময় হুইসেলের মতো শব্দ হয়। এটাকেই নাক ডাকা বলে। যখন শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যায়, তখন নাক ডাকাও বন্ধ হয়ে যায়।সঙ্গীর নাক ডাকার শব্দে অনেকরই ঘুমের বারোটা বাজে। কেউ ব্যাপারটা স্বীকার করে নেন, কেউ আবার বেমালুম অস্বীকার করে যান!

চিকিৎসকদের মতে, নাকের ভিতর শ্বাস চলাচলে বাধা পেলে কিংবা গলার পেছন দিকে আলজিভের দিকের টিস্যু কোনো কারণে অত্যধিক ঢিলে হয়ে গেলে, এমন আওয়াজ বেরোতে পারে। তবে যে কারণেই হোক, এই সমস্যার সমাধান করা জরুরি। তার জন্য মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। চলুন জেনে নেই। 

--পিপারমিন্ট অয়েল-- শ্বাসনালী বাধামুক্ত রেখে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখে পিপারমিন্ট অয়েল। তাই ঘুমোনোর আগে বুকে কয়েক ফোঁটা এই তেল মালিশ করে নিন। তাতেই কমবে নাক ডাকা।

--ধূমপান ছাড়ুন-- ধূমপানের কারণে নাক, গলার পর্দা ফুলে গিয়ে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস প্রভাবিত হতে পারে। তাই ধূমপান ছাড়লে শ্বাসের সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি নাক ডাকাও কমবে।

--পাশ ফিরেই ঘুমান-- চিৎ হয়ে ঘুমালে জিহ্বার অংশ শ্বাসনালীতে বাধা সৃষ্টি করে। তাই পাশ ফিরে ঘুমোন। এতে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। নাক ডাকা নিয়ে চিন্তা বাড়বে না।

--হাইড্রেটেড থাকুন-- ডিহাইড্রেশনের কারণে নাক ও গলায় ঘন শ্লেষ্মা নিঃসরণ হয়। এর কারণে নাক ডাকার দাপট বাড়বে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিপান করুন।

ঘুমানোর আগে এই কাজ করুন।ঘুমোতে যাওয়ার আগে অ্য়ালকোহল বা ঘুমের ওষুধ খাবেন না। এর কারণে গলার মাংসপেশি শিথিল হওয়ায় নাক ডাকার সমস্যা বাড়বে। 

--স্টিমেই মিলবে উপকার-- ঘুমোতে যাওয়ার আগে স্টিম নিন। এতে নাক পরিষ্কার থাকবে। তাই নাক ডাকার আওয়াজে পাশের ব্যক্তির ঘুমও ভাঙবে না। এছাড়া অতিরিক্ত ওজনের কারণেও কিন্তু শ্বাসনালিতে চাপ পড়ে। তাই একটা হেলদি ডায়েট ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন রাখুন হাতের মুঠোয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password