সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি-র সবচেয়ে ভালো উৎস সূর্য। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এ উৎস থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে অনেকেই সক্ষম হন না। মানবদেহের জন্য ভিটামিন ডি একটি অপরিহার্য উপাদান।
ভিটামিন ডি দেহের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পেতে পারে যদি প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট সরাসরি রোদে থাকা যায়। খাবারে ভিটামিন ডি-র পরিমান কম এবং সূর্যরস্মির অভাবে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন ডি।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, ভিটামিন ডির ঘাটতি হলে অটোইমিউন ডিজঅর্ডারের ঝুঁকি বাড়ে। এমনকি ভিটামিন ডির অভাবে মাংশপেশি ও হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সুস্থ থাকতে ভিটামিন ডি গ্রহণ করার বিকল্প নেই। তাই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জেনে নিন, যা ভিটামিন ডির ঘাটতি মেটাতে সক্ষম- চর্বিযুক্ত
মাছ: চর্বিযুক্ত মাছের মধ্যে রয়েছে স্যালমন, ম্যাক্রেল ইত্যাদি। এসব মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি।
মাছের তেল: কড মাছের তেল ভিটামিন ডির চমৎকার উৎস। যাদের মাছ খেতে ভালো না লাগে, তারা এই মাছের তেল সাপ্লিমেন্ট আকারে গ্রহণ করতে পারেন। রিকেটস, সোরাইসিসের মতো রোগ নিরাময়ে কড মাছের তেল বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
ডিমের কুসুম: ডিমের কুসুমে রয়েছে ৩৭ আইইউ ভিটামিন ডি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি করে ডিম রাখলে ভিটামিন ডির ঘাটতি মিটবে অনেকটাই।
টুনা: ডিমের কুসুমে রয়েছে ৩৭ আইইউ ভিটামিন ডি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি করে ডিম রাখলে ভিটামিন ডির ঘাটতি মিটবে অনেকটাই। টুনা সামুদ্রিক মাছ টুনা ভিটামিন ডির বেশ ভালো উৎস। সরাসরি টুনা মাছ পাওয়া সহজ নয়। তাই কেউ চাইলে ক্যানজাত টুনা রাখতে পারেন খাদ্য তালিকায়। এতে থাকা ২৬৯ আইইউ ভিটামিন ডির ঘাটতি হতে দেয় না।
মাশরুম: মাশরুমে থাকা ভিটামিন ডি২ রক্তে ভিটামিন ডির উৎপাদন বাড়ায়। বিশেষ করে চাষ করা মাশরুমে ভিটামিন ডির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।
সূত্র: হেলথলাইন
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন