পর্যাপ্ত ঘুম সুস্বাস্থ্যের অন্যতম চাবিকাঠি। প্রতিদিন নিরবচ্ছিন্ন আট ঘণ্টা ঘুম শুধু আমাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে না; বরং এটি সামগ্রিকভাবে প্রভাব ফেলে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে। কিন্তু অনেকের মাঝরাতে হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে যায়। অনাকাঙ্ক্ষিত আওয়াজ, শিশুর কান্না, অস্বস্তিকর বিছানা ইত্যাদি কারণে রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যেতে পারে। অনেকের আবার ঘুমের সমস্যা আছে।
বিশেষ করে রাতে একবার ঘুম ভেঙে গেলে আর ঘুম আসতে চায় না। ঘুমের জন্য তখন বিছানায় এপাশ-ওপাশ করতে হয়। যা মানুষের শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু কেন এমন হয়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো ব্যক্তি ব্যাঘাত ছাড়াই টানা ৯০ মিনিট পর্যন্ত ঘুমাতে পারেন। কিন্তু সেই ঘুমেরও বিভিন্ন স্তর আছে। এই ৯০ মিনিটের চক্রের মধ্যেই ঘুম কখনও গভীর, আবার কখনও বা হালকা হতে পারে। হালকা ঘুমের মধ্যে হঠাৎ বাথরুমে যেতে হলে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। ঘুম ঠিকমতো না হলে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তাই আমাদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো প্রয়োজন।
এজন্য ঘুম ভাঙার পর আবার চোখে ঘুম আনতে যা করবেন—
ঘুমানোর আগে পানি কম পান করুন : সারাদিন পানি খাওয়া হয় না বলে, বাড়ি ফিরে অনেকেই একবারে বেশি পানি খেয়ে নেন। এর ফলে রাতে বারবার প্রস্রাবের বেগ পায়। এতে স্বাভাবিকভাবেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাই শুতে যাওয়ার আগে বেশি পানি না খাওয়াই ভালো।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকবেন না : ঘুম ভাঙলেই অনেকের ঘড়ি দেখার অভ্যাস আছে। চিকিৎসকদের মতে, রাতে ঘুম ভেঙে ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে মনে অজানা এক আতঙ্ক বা উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। যদি সময় দেখতেই হয়, সে ক্ষেত্রে ফোনের ঘড়ি দেখুন।
ঘুমানোর আগে অ্যালকোহল পান করবেন না : বিছানায় যাওয়ার আগে অনেকেরই সামান্য হলেও অ্যালকোহল পানের অভ্যাস আছে। ঘুম আনতে সাহায্য করে ট্রিপটোফ্যান নামক এক যৌগ। তার ক্ষরণ আটকে দিতে পারে অ্যালকোহল। ফলে ঘুম আসতে সমস্যা হয়।
পোষ্যকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন : ঘুমের সময় পোষ্যকে কাছে নিয়ে শুতে ভালোবাসেন অনেকে। কিন্তু বিছানায় লেগে থাকা পোষ্যের লোম যদি নাকে-মুখে ঢুকলে, অ্যালার্জির আশঙ্কা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। ক্রমাগত হাঁচি, কাশি থেকেও ঘুম নষ্ট হতে পারে।
মন শান্ত রাখার চেষ্টা করুন : ঘুমাতে যাওয়ার আগে এমন কোনো ছবি, সিনেমা বা গল্প দেখবেন না বা পড়বেন না, যা থেকে উত্তেজিত হয়ে পড়তে পারেন। এর বদলে নিশ্চিন্ত ঘুমের জন্য কিছুক্ষণ যোগাসন করতে পারেন। হালকা কোনো যন্ত্রসংগীত শুনতে পারেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন