কৌটা খুলেই খাওয়া যাবে কৌটাজাতকরণ ইলিশ

কৌটা খুলেই খাওয়া যাবে কৌটাজাতকরণ ইলিশ

রপ্তানির জন্য কাঁচা ইলিশের চেয়ে কৌটাজাত পণ্য অনেক বেশি সম্ভাবনাময়। রেডি ফর কুক প্রক্রিয়ার পণ্যের চাহিদাও বেশি। ইলিশের পাশাপাশি টুনাসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও এই প্রযুক্তিতে কৌটাজাত করা হবে। মাছ রপ্তানি এবং প্রক্রিয়ায় যুক্ত পনেরোটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কর্মশালায় এসব তথ্য জানান, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল ও মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা। 

বাংলাদেশে উৎপাদিত ইলিশের শুধু দেশে নয় বিদেশেও এর ব্যাপক চাহিদা আছে। তবে এই ইলিশ কোটা জাত করে দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে রপ্তানি সম্ভাবনা লক্ষ্য রেখে এক বছর আগে ইলিশ ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ নিয়ে গবেষণা শুরু করে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক প্রফেসর ডঃ আহসান হাবিব। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ শেষে মিলেছে সাফল্য। 

আনুষ্ঠানিকভাবে মাছ প্রক্রিয়াজাত এবং রপ্তানির সাথে জড়িত উদ্যোক্তাদের হাতে প্রযুক্তিটি  হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। এই প্রযুক্তিতে কৌটাজাতকৃত ইলিশের বিশেষত্ব হচ্ছে ইলিশের কাঁটা নরম হয়ে মাংসের সাথে এমন ভাবে মিশে যায় যে এতে কাঁটা বেছে খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কোন পাত্রে মাত্র দু মিনিট গরম করার পরেই তা খাওয়া যাবে। 

কৌটাজাত ইলিশের বিদেশেও বড় বাজার তৈরীর সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের উদ্যোগতারা। তবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ঠিক রেখে রপ্তানি বাজারে প্রবেশের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দেন তারা। এ ধরনের গবেষণায় বিনিয়োগের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ মোঃ রশীদ ভূঁইয়া। 

গবেষণায় ইলিশ ছাড়াও টুনা ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও কৌটাজাতকরণের সাফল্য এসেছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password