মোবাইল ফোনের কথা বলতে বাড়তি খরচ গুনতে হবে গ্রাহকদের। ইন্টারনেট ব্যবহারেও আসবে বাড়তি বিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় করভার বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ প্রস্তাব তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হওয়ার কথা। উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের কাছে মোবাইল ফোন অতি প্রয়োজনীয় সেবা।
কথা বলার পাশাপাশি ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ—এসব জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে গেছে। ফলে এসব চালাতে খরচ আরও বাড়বে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে মোবাইলফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এতে গ্রাহকদের ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ আরও বাড়ছে।
বাড়তি কর বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল থেকেই কার্যকর হবে। এর আগে মোবাইলফোন ইন্টারনেটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দিতে হতো গ্রাহকদের। এখন তা আরও ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে ভোক্তাদের ১ শতাংশ সারচার্জও দিতে হবে।
নতুন করে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানোয় একজন গ্রাহককে এখন ১০০ টাকার ইন্টারনেট প্যাকেজে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ ৩০ টাকা ৬৫ পয়সা করে দিতে হবে। বাকি ৬৯ টাকা ৩৫ পয়সার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন তিনি। আগে ১০০ টাকার ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনলে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কাটা হতো ২৭ টাকা।
বাকি ৭৩ টাকার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতেন গ্রাহকরা।
দেশে বর্তমানে ১৯ কোটি সিমকার্ড গ্রাহক রয়েছেন। তাদের মধ্যে মোবাইলফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন প্রায় ১৩ কোটি। এদিকে, প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পরপরই নতুন এ শুল্ক কার্যকর করেছে দেশের মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলো।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন