নারীদের শারীরিক সম্পর্কে অনীহার প্রধান কারণ ও সামাধান

নারীদের শারীরিক সম্পর্কে অনীহার প্রধান কারণ ও সামাধান
MostPlay
পরপর কয়েকটা রাতে মিলন করতে ভালো লাগে না এমনটা সব দম্পতির ক্ষেত্রেই হতে পারে। কিন্তু এর প্রতি অনীহা যদি বেশি দিনের জন্য হয় তাহলে খুবই সমস্যার বিষয়। এর ফলে আপনার এবং আপনার পার্টনারের মধ্যে টেনশন দেখা দিতে পারে। নষ্ট হতে পারে দাম্পত্য জীবন। অনেক সময় সামান্য জিনিসের কারণে আপনার স্বাভাবিক যৌনতা কমে যেতে পারে। সেগুলো কী দেখে নেওয়া যাক: স্ট্রেস : স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে অনেক কাজের মতোই বিছানাতেও আপনি ভালো ফল পাবেন না। স্ট্রেস ঘরে‚ বাইরে‚ অফিসে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে এই স্ট্রেস কী করে কমানো যাবে তার উত্তর কিন্তু আপনাকেই খুঁজতে হবে। আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেরাই স্ট্রেসের মোকাবেলা করতে পারি। তবে যদি নিজের দ্বারা তা না হয় তাহলে ডাক্তারের কাছে যেতে লজ্জা পাবেন না যেন। পার্টনার প্রবলেম : পার্টনারের সঙ্গে সমস্যার ফলে কিন্তু আপনার যৌন জীবন পুরোটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পুরুষ এবং নারীরা দুজনেই তাই নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক রাখুন। ঝগড়া‚ নিজেকে ঠিকভাবে প্রকাশ না করা‚ বিশ্বাস ঘাতকতা এসবের থেকে যতটা পারবেন দূরে থাকুন। অনেক সময় মনোবিদের সাহায্য নিয়েও এসব সমস্যা থেকে বেরোনো যায়। মদ : অনেকে মনে করেন ড্রিঙ্কের পর হয়তো মিলনের ইচ্ছা বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু বেশি মদ্যপান করলে আপনার যৌনতা অসাড় হয়ে যেতে পারে। বা অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন মদ্যপান করেন‚ কিন্তু তার পার্টনার মদ্যপান করেন না‚ ফলে অন্যজনের জন্য এটা কিন্তু খুব বড় টার্নঅফ হতে পারে। তাই মদ্যপান ত্যাগ করুন করুন। কম ঘুমোনো : সেক্স ড্রাইভ কমে যাওয়ার আরো একটা বড় কারণ হলো অপর্যাপ্ত ঘুম। রাতে অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা গাঢ় ঘুম দরকার হয় আমাদের শরীরের। রাতে যদি ঘুম আসতে সমস্যা হয় এবং খুব ভোরে ঘুম ভেঙে যায় তাহলে সময় নষ্ট না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সন্তান : না‚ না‚ একেবারেই ভাববেন না যে সন্তানের জন্ম দিলে আপনার সেক্স ড্রাইভ কমে যাবে। তবে এটা মোটামুটি সবাই মেনে নেবেন যে সন্তান জন্মানোর পর একে অপরকে আগের মতো আর সময় দিতে পারেন না। তাই পারলে একজন বেবি সিটার বা বাড়ির অন্য কোনো মেম্বার তার কাছে কিছুক্ষণের জন্য বাচ্চাকে রেখে নিজেদের মতো সময় কাটান। ওষুধ : বেশ কিছু ওষুধ আছে যা সেক্স ড্রাইভ কমিয়ে দিতে পারে। যেমন : অ্যান্টিডিপ্রেশেনটস, ব্লাড প্রেসারের ওষুধ, বার্থ কন্ট্রোল পিলস, কেমোথেরাপি ইত্যাদি। পুওর বডি ইমেজ : আপনার যদি নিজের লুক পছন্দ হয় তাহলে সহজেই নিজেকে আকর্ষণীয় মনে হবে। তাই নিজের শরীরকে ভালোবাসতে শিখুন। কখনো আপনার পার্টনারের শরীর‚স্বাস্থ্য নিয়ে কোনোদিন মজা‚ ঠাট্টা বা তিরষ্কার করবেন না। ওবেসিটি : আপনি যদি ওভার ওয়েট হন তাহলে সেক্স ড্রাইভ কমে যেতে পারে। এছাড়া এনজয়ও করবেন না। বা ঠিকমতো পারফর্মও করতে পারবেন না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ইরেকশন প্রবলেম : যে পুরুষের ইরেকটাইল ডিসফাংশন আছে তাদের সেক্স লাইফে প্রভাব পড়বে। তবে এটা সহজেই চিকিৎসা করে ঠিক করে নেওয়া যায়। লো টেস্টোস্টরেন : এই হরমোনের ফলে মিলনের ইচ্ছা জাগে। পুরুষদের যত বয়স বাড়ে এই হরমোনের লেভেল তত কমতে থাকে এবং মিলনের ইচ্ছা হারিয়ে যায়। ডিপ্রেশন : ডিপ্রেশন হলে মিলনের ইচ্ছা কমে যায়। তাই যতটা পারবেন হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করুন‚ অহেতুক বিষণ্ণতায় ভুগবেন না। যারা ডিপ্রেশন কমানোর ওষুধ খান তাদের ওই ওষুধের ফলে সেক্স ড্রাইভ কমে যেতে পারে‚ তারা অবশ্যই ডাক্তারকে এই কথা জানান। মেনোপোজ : নারীদের যখন মেনোপোজের সময় হয়ে আসে তখন সেক্স ড্রাইভও কমে যায়। তবে মেনোপোজের পরেও দারুণ ভাবে যৌন জীবন উপভোগ করা যায়। তার জন্য দরকার সুস্থ শরীর‚ আত্মবিশ্বাস এবং পার্টানারের সঙ্গে সম্পর্ক। মেয়েরা হঠাৎ শারীরিক মিলন বন্ধ করলে: স্বামীবিয়োগ, বিবাহবিচ্ছেদ, ব্রেকআপ বা অন্য শহরে চাকরি, এধরনের নানাবিধ কারণে যৌনতা হারিয়ে যেতে পারে নারীর জীবন থেকে। এতে অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্থ হয় নারীশরীর। মানসিক দিক থেকে সুখ ও শান্তি চলে যায়। অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ভালোও হয়। ভালো-মন্দ মিলিয়ে সেক্স বন্ধ হওয়ার কারণে কী কী পরিবর্তন আসে জেনে নিন – আগের চেয়ে অনেক বেশি উতলা করে তোলে : আমরা সবাই জানি, যৌনতা হতাশা, হাঁহুতাশ মেটাতে সাহায্য করে। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে যদি নারীর জীবনে সেক্সের চ্যাপ্টার বন্ধ হয়ে যায়, তবে মানসিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। কথায় কথায় মন খারাপ, কিছু ভালো না লাগা, কারণে অকারণে অতিরিক্ত রাগ জন্মাতে শুরু হতে পারে। মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেও শুরু করে দিতে পারেন সেই নারী। স্কটিশ গবেষকদের পরীক্ষায় জানা যায়, সেক্স বন্ধ হয়ে গেছে এমন মহিলাদের নাকি লোকের সঙ্গে কথা বলতেও অসুবিধে হয়। এর কারণ, সেক্স করার সময় মস্তিষ্ক থেকে যে ফিল গুড কেমিক্যাল এন্ডোর্ফিন ও অক্সিটোসিন নিঃসরিত হয়, তা বন্ধ হয়ে যাওয়া। ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় : সঙ্গমের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূত্রনালীতে সংক্রমণ হতে পারে। প্রস্রাবের সময় জ্বালা-যন্ত্রণা শুরু হতে পারে তখন। কিন্তু সেক্স করা বন্ধ হয়ে গেলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। সর্দি কাশি প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় : সেক্স করলে শরীরে রোগ-জীবাণুর প্রবেশ কষ্টকর হয়ে ওঠে। অর্থাৎ, শরীরে রোগপ্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। পেনসিলভেনিয়ার উইলকিস-বারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মত, সপ্তাহে অন্তত দু’বার সেক্স করলে ইমিউনোগ্লোবিন অ (ছোটো করে বললে, ওমঅ। এই হরমোনের নিঃসরণ শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়) হরমোনের পরিমাণ ৩০% বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে সর্দি, কাশি, জ্বর হওয়ার প্রবণতা কমে যায়। কিন্তু সেক্স করা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে কমজোরি হয়ে পড়ে নারীশরীর। সর্দি, কাশির সমস্যা শুরু হয়। হৃদয় হার মানতে শুরু করে হরমোনের কাছে : দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা বলছে, সেক্স করলে হৃদয় ভালো থাকে। হরমোনের নিঃসরণ যথাযথ পরিমাণে হতে থাকে। কিন্তু অনেকদিন সেক্স বন্ধ থাকলে হৃদযন্ত্রে নেতিবাচক সমস্যা তৈরি করতে পারে। শরীর কমজোরি হয়ে পড়ে। নিয়মিত এক্সারসাইজ় করলে বা ট্রেডমিলে দৌড়ালেও লাভ হয় না। সেক্স করার ইচ্ছে চলে যেতে পারে : যাঁরা মনে করেন, নিয়মিত সেক্স করার অভ্যাসে একবার দাঁড়ি বসলে, কামনা-বাসনার লাগাম ছাড়িয়ে যায়। তা হলে তাঁরা ভুল জানেন। সেক্স করা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে, মিলিত হওয়ার বাসনা কমে যায়। এটা মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য। শরীরে উত্তেজনা লোপ পেতে শুরু করে। একটা সময় পর আর কামেচ্ছা জাগে না। বুদ্ধি কমে যায় : নিয়মিত সেক্স করা শুরু করলে, সেটা যদি হঠাৎ বন্ধ হয় যায়, তবে বুদ্ধি লোপ পেতে পারে। সারাক্ষণের ক্লান্তি, হতাশা মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যার ফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় স্মরণশক্তি। সবকিছু ভুলে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হতে থাকে। আর এর জন্য দায়ি একমাত্র সেক্স থেমে যাওয়া। পুরুষেরা হঠাৎ শারীরিক মিলন বন্ধ করলে সাময়িক হোক আর স্থায়ীভাবেই হোক মিলন বন্ধ হয়ে গেলে অনেক বড় বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় নারী-পুরুষকে। ‘আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে পাঁচটি বড় সমস্যার কথা। ১. হঠাৎ করে সঙ্গীর সঙ্গে মিলন বন্ধ হলে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন দেখা দিতে পারে। অন্তত ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকে। ‘আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিন’–এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, নিয়মিত মিলন পুরুষাঙ্গকে সুস্থ রাখে। সপ্তাহে যারা অন্তত একদিন মিলিত হয়, তাদের ক্ষেত্রে আচমকা মিলন বন্ধ হয়ে গেলে ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সম্ভাবনা কিঞ্চিৎ কম, বা দেরিতে আসে। ২. মিলনের ফলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অর্থাৎ, আচমকা মিলন বন্ধ হয়ে গেলে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় উদ্বেগজনক হারে। ৩. মিলনের ইচ্ছা ক্রমেই কমে যেতে বাধ্য হয়। দেখা গেছে, আচমকা মিলন বন্ধ হয়ে গেলে, প্রথম দিকে মিলনের একটা প্রবল ইচ্ছা জেগে উঠতে পারে। কিন্তু দীর্ঘদিন না-থাকলে, তা ক্রমশ স্তিমিত হবে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে, কোন অবস্থায় মিলনে ছেদ আসছে? প্রবল মানসিক ঝড়ঝাপটা এলে মিলনের ইচ্ছা একেবারে গোড়া থেকেই লুপ্ত হতে পারে। ৪. সঙ্গীর সঙ্গে মিলন মনকে হালকা করে। রিল্যাক্সড থাকতে সাহায্য করে। স্বাভাবিকভাবেই মিলন না-থাকলে সেটি হারিয়ে যাবে জীবন থেকে। ৫. নিয়মিত মিলন মানুষের মস্তিষ্ক অনেক বেশি সচল থাকে। অর্থাৎ, বুদ্ধিতে শান পড়ে নিয়মিত। স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মিলনের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে একাধিক গবেষণায়। ফলে, আচমকা মিলন হারিয়ে গেলে মস্তিষ্কে ঘাটতি হতেই পারে। চিরতরে সেক্স বন্ধ করে দিলে: যৌনতা আজকাল আর কোন রাখঢাকের বিষয় নয়। প্রেম ও যৌনতা- দুটি পরিপূরক শব্দ। ডিভোর্স, স্বামী অথবা স্ত্রীর অকাল মৃত্যু, প্রেমে বিচ্ছেদ এবং সঙ্গীর কাছ থেকে দূরে থাকার ফলে হয়ত প্রতিনিয়ত যৌন মিলন সম্ভব হয় না। এ কারণে যৌনতা হারিয়ে যেতে পারে জীবন থেকে। এতে অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্থ হয় শরীর। মানসিক দিক থেকে সুখ ও শান্তি চলে যায়। অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ভালোও হয়। সেক্স বন্ধ হওয়ার কারণে কী কী পরিবর্তন আসে তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। গবেষকরা বলছেন, চিরতরে সেক্স বন্ধ করে দিলে যে কোন মানুষের শারীরিক সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শরীর থেকে মনে এই রোগ ছড়াতে সময় লাগে না। টেনশন কমাতে এবং বিষন্নতা এড়াতে সেক্স খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে, সেটিও জানাচ্ছেন গবেষকরা। সেক্স মানুষের আত্মবিশ্বাস মজবুত করতে সহায়তা করে। যদি কোন কারণে প্রাত্যহিক জীবন থেকে যৌনতা হারিয়ে যায়, বিপদে পড়তে পারেন আপনি। কিভাবে, চলুন জেনে নিই। বিষণ্ণতা: সেক্স মানুষের বিষণ্ণতা কমায়। যৌনতার মাধ্যমে শরীরে সুখের হরমোন বৃদ্ধি পায়। কোন কারণে যদি জীবন থেকে যৌনতা হারিয়ে যায়, আপনি বিষণ্ণতায় ভুগতে বাধ্য হবেন। আপনার মন বেশিরভাগ সময় খারাপ থাকবে এবং কোন কাজে মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হবেন। যৌনতাড়িত: নিয়মিত সেক্স করার অভ্যাস একবার বন্ধ হলে কামনা-বাসনার লাগাম ছাড়িয়ে যায়। তবে অনেকে মনে করেন, সেক্স হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে মিলিত হওয়ার বাসনা কমে যায়। এই ধারণা সঠিক নয়। গবেষণা বলছে, যৌনতা বন্ধ হলে শারীরিক চাহিদা লাগামহীন হয়ে যেতে পারে। হৃদযন্ত্রের ঝুঁকি: বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা বলছে, সেক্স করলে হৃদয় ভালো থাকে। হরমোনের নিঃসরণ যথাযথ পরিমাণে হতে থাকে। কিন্তু অনেকদিন সেক্স বন্ধ থাকলে হৃদযন্ত্রে নেতিবাচক সমস্যা তৈরি করতে পারে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে বা ট্রেডমিলে দৌড়ালেও লাভ হয় না। ভবিষ্যত জটিলতা: অনেক লম্বা বিরতির পর আপনি যখন আবারও সেক্স করার ইচ্ছে পোষন করবেন, তখন আপনার মনকে শান্ত রাখা খুব জরুরি। আগের অভিজ্ঞতা এতে আপনাকে সেক্স করতে বাঁধা দিতে পারে। যেটি আপনাকে যৌন সুখের চেয়ে বেশি বিষণ্ণ করে তুলবে। কেন প্রয়োজন শারীরিক মিলন এক ধরনের শারীরিক ব্যায়াম : প্রতিদিন অন্তত একবার করে শারীরিক মিলনে শরীরে ব্যায়ামের উপকারিতা পাওয়া যায়। যৌন মিলনে পর যে কেউ ক্লান্তি অনুভব করেন, কেননা পরিশ্রমের কারণে ক্যালোরি ক্ষয় হয়। কেউ যদি সপ্তাহে ৩ দিন ১৫ মিনিটের শারীরিক মিলনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন, তাহলে তিনি বছরে ৭৫০০ ক্যালরি কমিয়ে আনতে পারবেন যা ৭৫ মাইল জগিং করার সমতুল্য। ব্যথা নিরসন করে : শারীরিক মিলনের সময়ে পুরুষ এবং নারী উভয়ের দেহেই এনডরফিনস নামক এক ধরনের হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে যা দেহে পেইনকিলার হিসেবে কাজ করে। জিনা ওগডেন পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয় যৌন উদ্দীপনার সময়ে কোনো প্রকার ব্যথা অনুভূত হয় না কেননা এনডরফিনস এর উপস্থিতিতে তা নিরসিত হয়। প্রজনন ক্রিয়ায় সহায়তা করে : প্রতিদিন শারীরিক মিলনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা একজন নারীর প্রজনন ক্রিয়ায় সক্রিয়তা বেশী থাকে। কেননা এটি প্রজনন বিভিন্ন অঙ্গ নির্দিষ্ট শেপে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত যৌন মিলনে প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে, মাসিকের নানা সমস্যা দূর হয়। মূত্রনালীর গ্রন্থির সুরক্ষা : মূত্রনালী থেকে বের হওয়া যেকোনো তরলই গ্রন্থির ময়লা নিঃসরণ করে থাকে। কিন্তু পর্যাপ্ত শারীরিক মিলনের অভাবে যদি তরল পদার্থটি সঠিকভাবে নিঃসরিত না হতে পারে তবে তা থেকে পুরুষের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি : বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত যে শারীরিক মিলনের ফলে মানসিক চাপ কমে যায়। যৌন মিলনের সময়ে শরীরে ডোপামিন নিঃসৃত হয় যা মানসিক চাপ সৃষ্টিকারক হরমোনের সাথে ক্রিয়া করে। এর ফলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password