পেঁয়াজের দাম শুনেই চোখে পানি আসার দশা ক্রেতাদের। কেননা, মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা। অথচ, রাজধানীর আড়তে পেঁয়াজ রাখার জায়গা হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের নির্বিকার অজুহাত, গত বছরের তুলনায় দেশে আবাদ কম হয়েছে, তার ওপর ভারত থেকে আমদানি বন্ধ, তাই দাম বেশি।
এদিকে, ডিলার পর্যায়ে চিনি ও সয়াবিন তেলের যোগান এখনো স্বাভাবিক না। সুখবর নেই চালের বাজারে। পেঁয়াজের বাজারে আগুন। দাম বাড়তে বাড়তে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। দু’এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানি করবে সরকার। এমনটিই জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শুক্রবার সকালে দুদিনের সফরে এসে রংপুর শহরে শালবন এলাকার বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব মন্ত্রীর নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি আমার দায়িত্বে নেই। কাঁচাবাজারের সবকিছু আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। এর জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুব একটা খারাপ নয়।
কাঁচাবাজার উঠানামা করে, কখনো শাকসবজির দাম বাড়ে, আবার কমে।’ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু পেঁয়াজ ও চিনির দাম নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এটাও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে। তিনি বলেন, সরকার চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তার প্রভাব এখনো পড়েনি। সরকার–নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকার কাজ করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি করা পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে বৈশ্বিক বিবেচনায় আমরা ভালো আছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের সহ্য করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, পীরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু নাসের শাহ মো. মাহবুবার রহমান, রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদি হাসান সিদ্দিকী, সাবেক যুবলীগ নেতা মহসিনুল বারীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন