আবহাওয়ার এই পরিস্থিতিতে বরিশাল-যশোরে বিমানবন্দর থেকে সব ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় রেমাল বরিশালের পায়রা সমুদ্রবন্দরের আরো নিকটবর্তী দূরত্বে অবস্থান করছে। ইতিমধ্যে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৈরি আবহাওয়ায় এবার যশোর ও বরিশাল বিমান বন্দরেও ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে সকাল থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। এছাড়া দুপুর ১২টা থেকে বন্ধ আছে ঢাকার শাহজালাল, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের কার্যক্রমও।
আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারো ফ্লাইট চালু করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে চট্টগ্রামের শাহ আমানতে রাত ৮টা থেকে পুনরায় ফ্লাইট ওঠানামা করবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও আবহাওয়ার পরিস্থিতি দেখে এ সময় বাড়ানো হতে পারে। এ বিষয়ে স্ব স্ব এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। বন্দরে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সর্তকতা এলার্ট-৪ । সতর্কতার অংশ হিসেবে গতকাল রাত থেকে বন্দরের বহির্নোঙর ও জেটিতে পণ্য ওঠানামা বন্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া বন্দরের কী গ্যান্ট্রি ক্রেন, পন্টুনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতির নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ছোটখাট যন্ত্রপাতিগুলোকে একস্থানে জড়ো করে নিরাপদে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন তথ্য সমন্বয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে চারটি ও মোংলা বন্দরে একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। বহির্নোঙরে অবস্থানকারী বড় বড় জাহাজগুলোকে আরো গভীর সাগরে গিয়ে নিরাপদে থাকা এবং বন্দরের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন