পাহাড় কেটে আবাসন নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

পাহাড় কেটে আবাসন নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

পাহাড়, বন দখল করে কোনো উন্নয়ন করা যাবে না। পাহাড় ও জলাধার কাটা বন্ধ করা হবে। পাহাড় কেটে আবাসন নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। আজ সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘সব উন্নয়নই যেন পরিবেশবান্ধব এবং জলবায়ু সহায়ক হয় সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য সরকার গ্রিন ও ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ডেভেলপমেন্ট নীতিমালা অনুসরণ করছে। জলবায়ু পরিবর্তন এখন মেইনস্ট্রিমিং হচ্ছে। স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, অবকাঠামো সব পরিকল্পনা প্রণয়নেই এ নীতি অনুসরণ করে হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবছর আমাদের অ্যাডাপটেশনে ৯ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। সেখানে সরকার সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে শুধু অ্যাডাপটেশনে। যদি এই বিপুল পরিমাণ অর্থ শুধু জলবায়ুতে দেওয়া না লাগত তাহলে আমাদের রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো এসবে ব্যয় করতে পারতাম।’

জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা রাখা সম্ভব নয় উল্লেখ করে সাবের হোসেন বলেন, ‘শতভাগ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলেও তা পার হয়ে যাবে। ধারণা করা হয় তা ২.৫ বা ২.৬-এ চলে যাবে। তাপমাত্রা যতই বৃদ্ধি পাক আমাদের ১.৫ ডিগ্রি নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই কাজ করতে হবে।

জলবায়ু সুরক্ষার জন্য যা যা করা দরকার তা করতে হবে।’ পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবেলায় সবাই যদি একমত হয় তাহলে সমাধান সম্ভব হবে। প্রক্রিয়াটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করবো। যারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী আছেন তাদের এক জায়গায় নিয়ে আসতে চাই। আমরা সবাইকে একটি প্ল্যাটফরমে নিয়ে আসব। সেই প্ল্যাটফরম থেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের সব অর্থায়ন ও পরিকল্পনা করা হবে।’

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password