মায়ানমারের নোরা বি-৫২ থেকে বাংলাদেশের নোরা কেন আধুনিক ?

মায়ানমারের নোরা বি-৫২ থেকে বাংলাদেশের নোরা কেন আধুনিক ?

ফ্রান্সের তৈরি ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম সাগেম ( বর্তমানে স্যাফরন ইলেক্ট্রনিকস ) সিগমা-৩০ এবং মিয়ানমারের নোরা বি-৫২ কে-১ এর সাথে আমাদের নোরা বি-৫২ কে-২ এর নেভিগেশনাল ডিফারেন্স অনেক। সাগেম সিগমা-৩০ হলো ফ্রান্সের তৈরি স্টেট অফ দা আর্ট জাইরোস্কোপিক ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম। এটি মূলত আর্টিলারি সিস্টেম , মর্টার সিস্টেম এবং এমআরএলএস এর জন্য তৈরি।

এটির মাধ্যমে এসপিএইচ এর অবস্থান গাইরোস্কোপিক কম্পাস দ্বারা নির্নয় , প্রতিপক্ষের দুরত্ব গাইরোস্কোপিক কম্পাস দ্বারা নির্নয় , হাওউইজারের এজিমুথাল হাইট , এজিমুথাল অ্যাংগেল , শেলের গতিপথ , টার্গেট হিটের জন্য শেল ছোড়ার ক্ষেত্রে হাওউজারের সম্ভাব্য এজিমুথ , শেলের সম্ভাব্য হিট করার জায়গা ইত্যাদি নির্নয় করা যায়। আর এসব কিছুই করা যায় জিপিএস সিস্টেম ছাড়াই।

এর মাধ্যমে প্রাপ্ত সকল তথ্য ক্যালকুলেশন করে টার্গেটের অবস্থান সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যায়। এটি একটি জ্যামিং প্রুফ সিস্টেম এবং জিপিএস-ডেনাইড পরিবেশেও কাজ করতে সক্ষম। সিগমা-৩০ সিস্টেম নোরা বি-৫২ কে-২ ছাড়াও সুইডেনের তৈরি আর্চার এবং ফ্রান্সের তৈরি সিজার এসপিএইচে ব্যবহার করা হয়েছে।

মূলত সিগমা-৩০ এর ব্যবহার মিয়ানমারের নোরার সাথে আমাদের নোরার পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেমের ব্যবহারের ফলে অবস্থান সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য এবং টার্গেটের সম্ভাব্য অবস্থান এবং হাওউজারের এজিমুথ এবং পারফেক্টলি টার্গেটের জন্য এজিমুথ নির্নয় করা যায় যার ফলে অধিকতর নির্ভুলতার সাথে শেল ছোড়া যায়। মায়ানমারের নোরাতে এই সিস্টেম না থাকাতে তাদের শুধুমাত্র রাডারের প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষন করে শেল ছুঁড়তে হবে যা নির্ভুল হবার সম্ভাবনা অনেক কম।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password