রেলেওয়ের জায়গায় আর বেসরকারি হাসপাতাল নয়, রেলওয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চাই

রেলেওয়ের জায়গায় আর বেসরকারি হাসপাতাল নয়, রেলওয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চাই

চট্টগ্রাম শহরের সিআরবির শিরীষতলা এলাকায় পরিবেশ বিনষ্ট করে শতবর্ষী গাছপালা কেটে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের হাসপাতাল না করে প্রয়োজনে রেলওয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও বর্তমানে বেহাল দশায় থাকা রেলওয়ের হাসপাতালগুলোকে উন্নত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি।

আজ ১৪ জুলাই ২০২১ইং বুধবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবী জানান সংগঠনটির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির। বিজ্ঞপ্তিতে মনিরুজ্জামান মনির বলেন, “ইতিমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের শ্রমিক-কর্মচারী, রেলওয়ের বিভিন্ন সংগঠন, বিশিষ্ট নাগরিক, পরিবেশবাদী সংগঠন সর্বোপরি চট্টগ্রামসহ সারাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ পিপিপির আওতায় চট্টগ্রামের ফুসফুস কেটে হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে চারদিকের এই তীব্র প্রতিবাদের তোয়াক্কা করছেন না রেলপথ মন্ত্রণালয়।

এর আগেও চট্টগ্রামে ইম্পেরিয়েল, আই ইনফিনিটি, ফয়েজ লেক চক্ষু হাসপাতাল, ইউএসটিসিসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রেলওয়ের মূল্যবান জমি পরিত্যক্ত দেখিয়ে পিপিপির আওতায় বিভিন্ন পুঁজিবাদী স্বার্থান্বেষী মহলকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেসব হাসপাতাল থেকে রেলওয়ের শ্রমিক-কর্মচারী ও পোষ্যরা কোন সুবিধা পায়নি। আমরা পূর্বে ও বর্তমানে পিপিপির আওতায় যত চুক্তি সম্পাদন হয়েছে সেগুলো জাতির সামনে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি এবং এসব চুক্তি থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-শ্রমিক-কর্মচারী ও জনগণ কি সুবিধা পেয়েছে তাও প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, “গত ১০ জুলাই অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) (পূর্ব) এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে, সিআরবি, চট্টগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আহসান জাবির নির্মাণাধীন এ হাসপাতাল থেকে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবে বলে যে মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছেন আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অতীত ইতিহাস বলে প্রতিবার যেকোন প্রকল্পের আগে এমন মিথ্যা আশ্বাস দেয়া হলেও প্রকল্প শেষে ঐ সকল প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষ সুবিধায় চিকিৎসা সেবা তো দূরের কথা রেলওয়ের কেউ পরিচয় পেলে হাসপাতালে ভর্তিও করতে চান না তারা।

আসলে শুরুতে সেবার কথার বললেও তাদের মূল উদ্দেশ্য শুধুই বাণিজ্য।” বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি বলেন, “ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম নগরী হাসপাতালের নগরীতে পরিণত হয়েছে। নতুন কোন হাসপাতালে প্রয়োজন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। চট্টগ্রাম নগরীর পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি না করে প্রয়োজনে কুমিরা রেলওয়ে হাসপাতালকে আধুনিক হাসপাতালে পরিণত করা হোক। সারাদেশে জরাজীর্ণ রেলওয়ের হাসপাতালগুলোকে আধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরিত করে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দেশের জনগণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হোক। আমরা চট্টগ্রামসহ রেলওয়ের চারটি বিভাগে চারটি রেলওয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।”

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password