১০০ থেকে যেভাবে ৫৭ কেজিতে এলেন জেরিন খান

১০০ থেকে যেভাবে ৫৭ কেজিতে এলেন জেরিন খান

বলিউড অভিনেত্রী জেরিন খানের ট্রান্সফরমেশন যে কাউকে মুগ্ধ করবে। রূপালি পর্দায় এ অভিনেত্রী বীর ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রবেশ করেন। তবে ভাগ্য তার ততটা সহায় ছিল না। এরপর রেডি সিনেমার একটি আইটেম গানের দৃশ্যে অভিনয়ের পর সবাই তার ওজন নিয়ে কটাক্ষ করতে থাকে!

তবুও দমে যাননি কিংবা উৎসাহ হারাননি জেরিন। নিজেকে কীভাবে বদলানো যায়, সেদিকে মনোনিবেশ করেছেন। এ বিষয়ে জেরিন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্রথম সিনেমায় যে চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি; সেখানে বেশি ওজনের কাউকেই দরকার ছিল। এজন্যই আমাকে সিলেক্ট করা হয়েছিল।’

‘পরবর্তীতে যখন আমি বডি শেমিংয়ের শিকার হতে থাকি; তখন জীবনযাত্রার পরিবর্তন করার দিকে নজর দেই। ফিটনেস ফিরে পেতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে আমাকে। প্রতিদিন জিমে গিয়ে কঠোর শরীরচর্চা করা এখন আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, ওজন কমানোর কোনো শর্টকাট উপায় নেই।’

১০০ থেকে জেরিন যেভাবে ৫৭ কেজিতে এলেন

ওজনের কারণে বরাবরই জেরিন কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্যের সম্মুখীন হতেন। তবে নিজের পড়ালেখা ছাড়া আর কোনো দিকেই মনোযোগ ছিল না তার। জেরিন বলেন, ‘আমার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল ছোট থেকেই। কখনো ভাবিনি অভিনেত্রী হব। এ কারণেই ওজন নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা ছিল না।’

​​​​​​

ওজন কমানোর শুরুতে জেরিন খান সঠিক অনুশীলন ও ডায়েটের মাধ্যমে এক বছরে ৪৩ কেজি ওজন কমাতে সক্ষম হন। কীভাবে এটি সম্ভব হলো? জেরিন বলেন, ‘আমার খাবার কমিয়ে এনেছিলাম। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া শুরু করেছি, আর নিয়মিত শরীরচর্চা করি। এর মাধ্যমেই প্রথম বছরে ৪৩ কেজি কমাতে সক্ষম হই।’

জেরিন তার জিম প্রশিক্ষক ইয়াসমিন করাচিওয়ালাকেও বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি না থাকলে হয়তো এতো দ্রুত ওজন কমাতে পারতাম না। তিনি আমাকে পাইলেট, সাঁতার কাটা, জগিং এবং কোর্ডিও চর্চা করিয়েছেন নিয়মিত।’

জেরিন আরও জানান, ‘সপ্তাহে ৩দিন সকালে ইয়াসমিনের সঙ্গে আমি এক ঘণ্টা ওয়েট ট্রেনিং ও পাইলেট করি। এ ছাড়াও আমার বিপাক্রিয়া উন্নত করতে সাঁতার কাটা ও জগিং করি। আমি প্রতি ২ ঘণ্টা পরপর হালকা খাবার খেয়ে থাকি। মিষ্টি ও ভাজা খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ আমার জন্য। ওজন কমাতে হলে এ দুই খাবার থেকে সবারই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।’

জেরিন খানের ডায়েট কেমন?

ডায়েটিংয়ের ধারণাকে অপছন্দ করেন জেরিন খান। তিনি বলেন, ‘আমি হাই প্রোটিন ডায়েটের মধ্যে থাকি সবসময়। এ ছাড়াও প্রচুর শাক-সবজি ও জুস খেয়ে থাকি। আমি প্রচুর পানি পান করি। এসবই সুস্থ ও ফিট থাকার মূলমন্ত্র। সেইসঙ্গে প্রতিদিন শরীরচর্চা করতে হবে।’

জেরিন খানের ডায়েট চার্ট-

সকালে- ২টি ডিম, ব্রাউন ব্রেড টোস্ট, ফল এবং স্প্রাউট।
দুপুরে- ব্রাউন রাইস, শাক-সবজি, গ্রিলড চিকেন।
বিকেলের নাস্তা- ডাবের পানি, স্যুপ।
রাতের খাবার- ব্রাউন রাইস, শাক-সবজি, সালাদ, গ্রিলড চিকেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password