পাপিয়ার চেয়েও ভয়ঙ্কর মনিকা!

পাপিয়ার চেয়েও ভয়ঙ্কর মনিকা!

ওয়েস্টিন কা’ণ্ড নিয়ে নরসিংদীর জে’লা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়া যখন ট’ক অব দ্য কান্ট্রি, তখন আশুলিয়ায় আরেক বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রীর নানা অ’পকর্ম ‘ট’ক অব দ্য আশুলিয়া’। তাকে এখন বলা হচ্ছে ‘আশুলিয়ার পাপিয়া’। তার অ’পকর্মের নানা ফিরিস্তি দিয়ে অনেকে একে বলছেন ‘মনিকার পাপকাণ্ড’।
সম্প্রতি পু’লিশের এলিট ফোর্স র্যা’ব সম্প্রতি ঢাকার শাহ’জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রে’প্তার করে নরসিংদীর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়াকে। তার ও তার স্বামীর বি’রুদ্ধে পাঁচতারকা হোটেলে বিলাসবহুল স্যুটে অ’নৈতিক কাজ-কারবার পরিচালনার অ’ভিযোগ। এ ছাড়া নরসিংদীতে মা’দক ব্যবসা’সহ নানা অ’পকর্মের খবরও প্রচারিত হয় হয় তাকে নিয়ে। এরপর তাকে যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
সাভা’রের আশুলিয়া থা’না যুব মহিলা লীগের নেত্রী মনিকা হাসানও বহিস্কৃত। তার নানা অ’পকর্ম নিয়ে আলোচনা এখানকার রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে। মা’দক ও নারী ব্যবসা, চাঁদাবাজি, দখল ছাড়াও মিথ্যা নারী নি’র্যাতন মা’মলায় ফাঁ’সিয়ে ব্ল্যাকমেইলের বিস্তর অ’ভিযোগ তার বি’রুদ্ধে। মা’দকসংশ্লিষ্টতার অ’ভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয় সংগঠন থেকে।
ভা’রী মেকাপ আর চোখ ধাঁধানো সাজ নিয়ে চলেন এই মনিকা। নিজেকে পরিচয় দেন কেন্দ্রীয় মহিলা যুবলীগের কার্য্যনির্বাহী সদস্য বলে।
স্থানীয় নেতা ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রীসহ ক্ষমতাসীন দলের হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের সঙ্গে তার নানা ঢঙের ছবি। এগুলো তাদের সঙ্গে তার সখ্যের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করে মনিকা প্রভাব বিস্তার করেছেন এলাকায়। বেপরোয়া মনিকা হয়ে উঠেছেন আশুলিয়ার ‘পাপিয়া’, এমন গুঞ্জন এখন সর্বত্র। মা’দক ও দেহব্যবসার অ’ভিযোগে যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত মনিকা এখনো তার অ’পকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে।
মা’দকদ্রব্য অধিদপ্তরের অ’ভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়া থা’না যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী মনিকা হাসান ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্য মা’দক এবং দেহব্যবসার সঙ্গে জ’ড়িত। এমনকি মনিকা তার নিজ বাড়িতেই এসব অ’নৈতিক কাজ পরিচালনা করেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘মনিকা হাসান ইয়াবার ডিলার। তার দুলাভাই আফজাল হোসেন এবং মামাতো ভাই জাহিদ ইয়াবা ও ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী। এ ছাড়া মনিকার বড় খালা আয়শা বেগম, খালু রনি ও খালাতো বোন নার্গিস ইয়াবা ব্যবসায়ী।’
এ ছাড়া মনিকার মামা কাজল মিয়া, মামি নাজমুন নাহার, খালু শহীদ ভূইয়া, বোনজামাই জসিম উদ্দিন ও খালাতো ভাই রাজু মিয়ার নামেও আশুলিয়া থা’নায় রয়েছে আরও চারটি মাদক মামলা।
অভিযোগ রয়েছে, মনিকা হাসান মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী চিহ্নিত হওয়ার পর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তার এলাকার ধামসোনা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মঈনুল ইসলামের কাছে প্রত্যয়নপত্র চান। এতে রাজি না হওয়ায় ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাতে থাকেন মনিকা। পরে ওই ইউপি সদস্য মনিকার বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password