পরোক্ষ ধূমপানের স্বাস্থ্য ক্ষতি থেকে আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে

পরোক্ষ ধূমপানের স্বাস্থ্য ক্ষতি থেকে আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে

যিনি ধূমপান করেন তিনি যে কেবল নিজেরই ক্ষতি করেন সেটা নয়। বরং তার আশেপাশের মানুষদেরও ক্ষতি করেন। আর এই পরোক্ষ ধূমপানের স্বাস্থ্য ক্ষতি থেকে আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে ও সকলকে সচেতন হতে হবে'- বলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ, এমপি।

১৫ মার্চ দুপুরে ঢাকায় নিজ কার্যালয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ, এমপি এ কথা বলেন।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়ক মোঃ শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন রহমান ও মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভী। প্রতিনিধি দল অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ, এমপিকে তামাক নিয়ন্ত্রণে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।

এসময় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়ক মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-র আলোকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ প্রণয়ন করে। ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। তবে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি এফসিটিসির সাথে অনেকাংশে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও কিছু জায়গায় দুর্বলতা রয়েছে। এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে তামাক কোম্পানী তামাকের প্রসার ঘটাচ্ছে।

প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন রহমান বলেন, বিদ্যমান আইনের যেসব দূর্বলদিক তামাক নিয়ন্ত্রণে বাধা রয়েছে সেগুলো হলো- বিদ্যমান আইনে গণপরিবহন ও রেস্তোঁরাসমূহে ক্ষেত্রবিশেষে ধূমপানের সুযোগ রাখা হয়েছে, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়নি, বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ নয়, ই-সিগারেটের মতো এমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টসমূহ আমদানি ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, সবধরনের তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের আকার/আয়তন নির্ধারণ না করায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। এছাড়া পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে সিঙ্গেল স্টিক সিগারেট কেনার সুযোগ নেই। কিন্তু আমাদের দেশে কোন বাধ্যবাধ্যকতা নেই। এই বিষয়টিতে আইনী বাধ্যবাধকতা দরকার।

প্রতিনিধি দল এ সম্পর্কীত প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন ও  তামাক কর বাড়িয়ে তামাক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবের পক্ষে অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ, এমপির সমর্থন চান। অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ, এমপি প্রতিনিধি দলকে তাদের কার্যক্রমের জন্য সাধুবাদ জানান ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password