মিয়ানমারের সেনাদের চৌকি স্থাপনে সীমান্তে সতর্কতা

মিয়ানমারের সেনাদের চৌকি স্থাপনে সীমান্তে সতর্কতা

সামরিক বাহিনী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর সীমান্তের ওপারে বিভিন্ন স্থানে চৌকি স্থাপন করেছে মিয়ানমার। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে চৌকি স্থাপনের কারণে এপারে অবস্থানরত স্থানীয় মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদশ- বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পরপরই ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু কোনারপাড়া, ভাজাবুনিয়া, বাইশপাড়ি সীমান্তের ওপারে কাঁটাতার ঘেঁষে চৌকি স্থাপন করে মিয়ানমারের সেনারা অবস্থান নিয়েছে।এদিকে, নো ম্যান্স ল্যান্ডে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন সীমান্তবর্তী স্থানীয় বাসিন্দারা।

ঘুমধুম ভাজাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদ হোসেন বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে সীমান্তের ওপারে কাটাতারের বেড়া ঘেঁষে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অসংখ্য চৌকি স্থাপন করে অবস্থান নেয়ায় সীমান্ত এলাকায় ক্ষেত-খামারে নিয়োজিত শ্রমজীবি মানুষেরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।’

ঘুমঘুম জলপাইতলি এলাকার জেলে আব্দু শুক্কুর জানান, নাফ নদী থেকে মাছ শিকার করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর নদীতে মাছ শিকার নিয়ে জেলেদের মধ্যে ভয় কাজ করছে।’

বেতবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর বশর মিজান বলেন, ‘সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতে ওপার থেকে গুলির শব্দ ভেসে আসে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে।’

কক্সবাজার (৩৪) ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থায় থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।’

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। সেখানে অং সান সু চি ও দেশটির রাষ্ট্রপতিসহ ক্ষমতাসীন দলের বেশকিছু নেতাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password