অন্যের খুনের মামলায় সাজার পর মুক্তি পেলেন সেই মিনু

অন্যের খুনের মামলায় সাজার পর মুক্তি পেলেন সেই মিনু

নিজে খুনের মামলায় আসামি না হয়েও প্রায় তিন বছর সাজা ভোগ করার পর মুক্তি পেয়েছেন সেই মিনু আক্তার।

বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এই দিন দুপুরের দিকে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঞার আদালত মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দেন।

মিনু কারামুক্তির পর বলেন, আমার মুক্তির জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ দেওয়ান মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আদালতের আদেশে যাচাই-বাছাইয়ের পর মুক্তি দেয়া হয় মিনুকে।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, গত ২৩ মার্চ মিনুকে আক্তারকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়। প্রকৃত আসামি কুলসুমা আক্তারের কারা রেজিস্ট্রারে থাকা ছবি এসময় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. শফিকুল ইসলাম খান আদালতে উপস্থাপন করা হয়। দুজনের ছবির মধ্যে পার্থক্য পাওয়া যায়।

চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ নিরপরাধ মিনুকে সকল আইনি সহায়তা প্রদান করেন। বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে তিনি বলেন, মিনুর জীবন থেকে এই তিনটি বছর আর কখনো পাওয়া যাবে না। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা ও ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা দায়ের করা হবে।

জানা গেছে, মিনু আক্তারের আইনজীবীকে পরবর্তীতে মামলার প্রয়োজনে মিনুকে হাজির করার শর্তে একটি বন্ড জমা দিতে বলা হয়। তিনি সেই বন্ড জমা দিলে মিনু আক্তারের মুক্তির নির্দেশনা কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে চতুর এক নারী আসামির প্রলোভনের ফাঁদে পড়েন দুই সন্তানের জননী চট্টগ্রামের মিনু। দ্রুত মুক্ত করা এবং সন্তানদের ভরণপোষণের শর্তে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কুলসুমার বদলে জেলে যান তিনি।

এরপর থেকে তিন বছর ধরে জেলে মিনু। এ সময়ে ভরণপোষণতো মেলেনি উল্টো দীর্ঘায়িত হয় তার কারাবাস। তখনই হুঁশ হয় তার। বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষকে জানালে তদন্ত হয়। আদালতের তদন্তে বেরিয়ে আসে পুরো ঘটনা। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password