মৎস্যজীবীদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে মানববন্ধন ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি

মৎস্যজীবীদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে মানববন্ধন ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি

আজ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ইং বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির উদ্যোগে মৎস্য ভবনের সামনে “জেলেদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে মানববন্ধন ও মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয়কে স্মারকলিপি” প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া, শামসুদ্দিন ভূঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক হারুন আকন, ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি এইচ. এম. ইউনুছ মিয়া, রংপুর বিভাগীয় সদস্য সচিব নজরুল হক প্রমুখ।

এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, “সারাদেশের মৎস্যজীবী জেলেরা আজ ভালো নেই। তাদের পাশে কেউ নেই। সরকারি সাহায্য সহযোগিতা জেলেরা ঠিক মত পায় না। অসহায় জেলেদের দুরাবস্থা লাঘবে আমরা সরকারের কাছে আমাদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই।”

মানববন্ধন শেষে মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি বরাবরে জেলেদের ৬ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, (১) সকল নদীর মোহনায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে হবে। মৎস্য বিভাগের সকল পর্যায়ের প্রকল্পে মৎস্যজীবী জেলে সংগঠনের প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে এবং জেলেদের রক্ষার সার্থে মৎস্য বিভাগ ও বিভিন্ন বাহিনী দীর্ঘদিন থেকে অপারেশনে যে সকল মাঝি ব্যবহার করেন তাদের বাতিল করে সংগঠনের সুপারিশক্রমে নতুন মাঝি নিয়োগ করতে হবে। (২) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী খাদ্য সহায়তা, আশ্রয়ণ প্রকল্প, সুদমুক্ত ঋণ, বদ্ধ জলমহালের ইজারা প্রথা বাতিল করে বদ্ধ জলমহালে আয়তন ঠিক রেখে টোকেন ফি’র মাধ্যমে প্রকৃত মৎস্যজীবী জেলেদের সংগঠনের নামে বরাদ্দ দিতে হবে। মৎস্যজীবী জেলেদের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে ও মৎস্যজীবী জেলেদের এফ আই ডি কার্ড সংশোধনে মৎস্যজীবী জেলে সংগঠনের প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। (৩) ভূমিহীন মৎস্যজীবী জেলেদের নামে খাস জমি বরাদ্দ দিতে হবে ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও কক্সবাজার জেলাকে জাটকা জোনের আওতায় আনতে হবে। (৪) খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা অঞ্চলের আলোর কোল, দুবলাচর, সুন্দরবন অঞ্চলের মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ’র আওতায় আনতে হবে। এফ আই ডি কার্ডধারী জেলেদের সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া আহরণে মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে পারমিট দিতে হবে। (৫) মৎস্যজীবী জেলেদের ভিজিএফ বিতরণে দুর্নীতি বন্ধের লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে ভিজিএফ দিতে হবে ও বাংলাদেশের সকল জেলায় মৎস্যজীবী জেলেদের খাদ্য সহায়তা দিতে হবে। শুকনা মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় বেকার হয়ে পড়া প্রায় ৩ লক্ষ মৎস্যজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। (৬) ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস জলদুস্য ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে নিহত জেলে পরিবারকে ৫লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা ও নিবন্ধিত প্রত্যেক জেলের নামে মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকার জীবন বীমা চালু করতে হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password