ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদ ৩ দিনের রিমান্ডে

ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদ ৩ দিনের রিমান্ডে

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় সাংসদ হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী জাহিদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এই আদেশ দেন।ইরফান ও জাহিদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে আবেদন করে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। এই রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য আজ তাঁদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে দুজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। রোববার রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও সোমবার ভোরে এরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।

এ মামলায় সোমবার দুপুরে ইরফানকে গ্রেফতার করে র্যাব। এছাড়া পুরান ঢাকায় তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়।

বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে জেল দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।একই মামলার আরেক আসামি এ বি সিদ্দিক ওরফে দীপুকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত তাঁর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার আগের দিন ইরফানের গাড়ির চালক মিজানুর রহমানকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পায় পুলিশ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password