যেভাবে দূর করবেন পিঠের ব্রণ

যেভাবে দূর করবেন পিঠের ব্রণ
MostPlay

ব্রণ খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা। মুখে ব্রণ হলে তা সৌন্দর্য নষ্ট করারা পাশাপাশি ত্বকেরও ক্ষতি করে। তবে ব্রণ যে শুধু মুখেই হয় তা কিন্তু নয়, পিঠেও যন্ত্রণাদায়ক ব্রণ হয়ে থাকে। তাছাড়াও অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্রণের উপদ্রব দেখা দেয়।

নিউ ইয়র্কের কসমেটিক ডার্মাটোলজিস্ট ডেন্ডি এঙ্গলম্যান জানিয়েছেন, মুখে যদি ব্রণ বেশি হয়, তাহলে পিঠেও ব্রণ হবার সম্ভাবনা থাকে। চুলে ব্যবহার করা শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, স্প্রে বা সিরামের কারণেও পিঠে ব্রণ হতে পারে।

ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্বকে উৎপাদিত অতিরিক্ত তেল, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণসহ নানা কারণে পিঠে ব্রণ হতে পারে। অবশ্য পরিবেশগত কারণেও হতে পারে, যেমন- ময়লা ও দূষণ। এছাড়া মানসিক চাপ ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণেও ব্রণ হয়।

তবে চিন্তার কিছু নেই। কারণ মুখের ব্রণের মতোই পিঠের ব্রণও দূর করার উপায় রয়েছে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ঘরোয়া উপায়ে পিঠের ব্রণ দূর করার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে-

দই

দইয়ে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দারুণ কার্যকর। পরিমাণমতো দই নিন এবং ব্রণস্থলে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এবার আলতোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু থেকে তিন বার এটি করলে প্রত্যাশিত ফল পাবেন।

গ্রিন টি

শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ছাড়াও গ্রিন টি ত্বকের সেবাম উৎপাদন কমায় এবং ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এক কাপ গ্রিন টি বানান। ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার সেখানে কটন বল ডোবান। ভেজা কটন বলটি ব্রণস্থলে রাখুন। এভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন, পরে তুলে ফেলুন। সপ্তাহে তিন থেকে চার বার এটি করলে ভালো ফল মিলবে।

রসুন

রসুনে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। এটি প্রদাহ ও ব্যথা দূর করে। কয়েক কোয়া রসুন নিন। এবার রসুনের কোয়া পিষুন। এরপর তা ব্রণস্থলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে আলতোভাবে তুলে ফেলুন। প্রতিদিন এটি করুন। ব্রণ কমে আসবে।

মধু ও দারুচিনি গুঁড়া

মধু ও দারুচিনি দুটোতেই রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা ত্বককে ফ্রি রেডিক্যালস থেকে মুক্ত রাখে। এ দুই উপাদান ত্বকের প্রদাহ ও জ্বালা কমায়। চার টেবিল চামচ মধু ও দুই টেবিল চামচ দারুচিনি পাউডার নিন। একটি পাত্রে এ দুটি উপাদান ভালোভাবে মেশান। তারপর ব্রণের ওপর লাগান। এবার মিশ্রণটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। শুকনো হয়ে এলে আলতোভাবে তুলে ফেলুন। কয়েক দিন নিয়মিত এটি করলে ব্রণ দূর হবে।

অ্যালোভেরা

ব্রণ থেকে সুরক্ষায় অ্যালোভেরার জেলের জুড়ি নেই। তাজা অ্যালোভেরা নিন। তা থেকে জেল বের করে একটি পাত্রে রাখুন। ব্রণস্থলে এবার জেল লাগান। দিনে কয়েক বার অ্যালোভেরার জেল লাগালে ব্রণ কমে আসবে।

লেবুর রস

সেবামের উৎপাদন কমিয়ে ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করে লেবুর রস। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ প্রতিরোধে কার্যকর। একটি পাত্রে লেবুর রস নিন। তাতে কটন বল ডুবিয়ে সেটি ব্রণস্থলে রাখুন। কটন বলটি ৩০ মিনিট রেখে দিন। একদিন পরপর এটি করুন। ভালো ফল মিলবে।

চিনি ও নারকেল তেল 

চিনি ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়াও ত্বক থেকে ময়লা ও অতিরিক্ত তেল দূর করে। এভাবে ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করে চিনি। আর নারকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা ত্বকের স্ফীতি রোধ করে। আধা কাপ চিনি ও আধা কাপ নারকেল তেল নিন। একটি পাত্রে এ দুটি উপাদান মেশান। এবার মিশ্রণটি আপনার পিঠে কয়েক মিনিট লাগান। কারও সাহায্যে এটি করলে ভালো। এরপর গোসল সেরে নিন। একদিন পরপর এটি করলে দ্রুত ফল মিলবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password