তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশই হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে দেওয়া বর্তমান প্রজন্মের সেরা উপহার। বঙ্গবন্ধু আজীবন যে বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছেন সে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই হবে তাঁকে দেওয়া আমাদের যথাযথ সম্মান।আজ ১৭ই মার্চ ২০২১ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংবাদ পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব) এর আহ্বায়ক মোঃ মুর্শিদুল হক।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আজ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ, বর্তমানে আমরা বিশ্বের ৪১ তম বৃহৎ অথনৈতিক শক্তি; ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বৃহৎ ২৫টি অর্থনীতির একটি হবে, চীনের পর আমরা ২য় বৃহত্তম রেডিমেড গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ, আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রেরণ করেছি, প্রায় ১৬ শতাংশ গ্লোবাল ফ্রিল্যান্সার ওয়ার্কার নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়, বাংলাদেশের অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেটদল বিশ্বকাপ জিতে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের আধিপত্যের আগমনীযাত্রার সংকেত দিয়েছে; এমন হাজারো অর্জনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। তথাপিও প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে থাকা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দলীয়করণ, দুর্নীতি, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সন্ত্রাস আমাদেরকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাধাগ্রস্ত করছে।”
টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব) এর আহ্বায়ক আরো বলেন, “বর্তমান বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে হলে বাংলাদেশকে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিতে হবে। শুধু গার্মেন্টস শিল্প নয় প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে হবে, ৫ম প্রজন্মের শিল্পবিপ্লবের সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অনুধাবন করে সরকার ইতিমধ্যেই বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে আমরাও প্রযুক্তিতে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি। ক্ষুধা-দারিদ্র্য মুক্ত উন্নত সুখী সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশই হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।”
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন