মোহনপুর ইউনিয়ন আ.লীগের উদ্যােগে বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

মোহনপুর ইউনিয়ন আ.লীগের উদ্যােগে বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

 

বঙ্গবন্ধুর জন্ম নাহলে দেশ স্বাধীন হতোনা

------- কাজী মিজানুর রহমান


মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যােগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  ১০১ তম জন্ম দিন ও জাতীয়  শিশু দিবস পালিত  হয়েছে ৷
১৭ মার্চ সকাল ১০ টায়  বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে  ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী প্রচার লীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি, মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিস্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক  কাজী মিজানুর রহমান,মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ,মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড , যুবলীগ,মহিলালীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ৷ বিকেল ৪টায় আনন্দ ৱ্যালী,৫টায় মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে  আলোচনাসভা, কেককাটা, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয় ৷

মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন হাওলাদারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বত্তব্য রাখেন,কেন্দ্রীয় আওয়ামী প্রচারলীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি মোহনপুর পরিযটন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান, তিনি বলেন, ১৭ মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০১ তম জন্মদিন। ১৯২০ সালের এইদিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহন করেছিলেন। ছাত্র বয়সেই তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলনে যোগ দেন। যার কারণে তিনি বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। ১৯৭০ এর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন দল বিজয়ী হয়েও রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারেনি। ১৯৭১ এর মার্চে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন (এর আগে থেকেও দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলে আসছিল  ১৯৭১ এর ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু এক বিশাল জনসমাবেশে ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। পরবর্তীতে ১৯৭১ এর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ওয়্যারলেসে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দেন এবং ঐ রাতেই তিনি পাকিস্তান শাসক কর্তৃক গ্রেফতার হন। এরপরই শুরু হয়ে যায় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ।

 জন্ম হয় আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের। দীর্ঘ নয় মাসের সংগ্রামের পর ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরে আমরা পাই আমাদের কাংখিত বিজয়। এই মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রায় ত্রিশ লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন এবং প্রায় তিন লক্ষ মা-বোন সম্ভম হারিয়েছেন। শেষপর্যন্ত ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মুক্তিলাভ করেন। এবং তার পরবর্তীতে তিনি নিজ দেশে এসে রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। কিন্তু ১৯৭১ সালে শত্রুরা পরাজিত হলেও তারা বসে থাকেনি, তাদের ষড়যন্ত্র তখনো থেমে থাকেনি। ঘাতকরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বাঙ্গালীর অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যসহ আরোও অনেককে হত্যা করে। বাঙ্গালী জাতির জীবনে নেমে আসে এক অন্ধকার অধ্যায়ের ৷

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password