যথাযথ আইন ধূমপানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে

যথাযথ আইন ধূমপানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে

জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার সীমিত করা প্রয়োজন। আর এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইনের সংশোধনও প্রয়োজন।

কারণ যথাযথ আইনই পারে ধূমপান থেকে সকলকে বিরত রাখতে এবং সেই সাথে ধূমপানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস করতে। ১৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদের এমপি হোস্টেলে নিজ কার্যালয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দল মোঃ মুজিবুল হক, এমপি এ কথা বলেন।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়ক মোঃ শরিফুল ইসলাম, প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন রহমান ও মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভী। প্রতিনিধি দল মোঃ মুজিবুল হক, এমপিকে তামাক নিয়ন্ত্রণে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
এসময় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-র আলোকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ প্রণয়ন করে।

২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। তবে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি এফসিটিসির সাথে অনেকাংশে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও কিছু জায়গায় দুর্বলতা রয়েছে। জনস্বাস্থ্য, বিশেষ করে কিশোর ও তরুণদের জন্য নতুন হুমকি ই-সিগারেটের মতো এমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনে কিছু বলা নেই।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন রহমান বলেন, বিদ্যমান আইনের যেসব দূর্বলদিক তামাক নিয়ন্ত্রণে বাধা রয়েছে সেগুলো হলো- বিদ্যমান আইনে গণপরিবহন ও রেস্তোঁরাসমূহে ক্ষেত্রবিশেষে ধূমপানের সুযোগ রাখা হয়েছে, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়নি, বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ নয়, ই-সিগারেটের মতো এমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টসমূহআমদানি ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, সবধরনের তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের আকার/আয়তন নির্ধারণ না করায়সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে ও তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়নি। এছাড়া পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে সিঙ্গেল স্টিক সিগারেট কেনার সুযোগ নেই। কিন্তু আমাদের দেশে কোন বাধ্যবাধ্যকতা নেই। এই বিষয়টিতে আইনী বাধ্যবাধকতা দরকার।

প্রতিনিধি দল এ সম্পর্কীত প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনে মোঃ মুজিবুল হক, এমপির সমর্থন চান। মোঃ মুজিবুল হক, এমপি প্রতিনিধি দলকে তাদের কার্যক্রমের জন্য সাধুবাদ জানান ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password