কিশোর কবি সুকান্ত লিখেছিলেন, ‘দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা/ আমি যে বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা।’ আজকের তরুণদেরও বিপ্লবোত্তর যত কথা সবই যেন ওই ৮৫ বছর আগের কিশোর কবিরই লেখার এক নবরূপ প্রতিধ্বনি। গত বছর জুলাই থেকে আগস্টের প্রথম কদিনে দেশে যে রাজনৈতিক ভূমিকম্প ঘটে, যেখানে আমরা ধস, পতন, পলায়ন দেখেছি; তেমনি প্রত্যক্ষ করেছি উত্থান, বিজয় ও জাগরণ। নব্বইয়ের ডিসেম্বর গণজাগরণের পর নতুন রূপে আসে ২০২৪-এর জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, গণবিপ্লব। অতীতের রাজনীতির উত্থান-পতন যদি হয় ইতিহাস, তবে বর্তমান রাজনীতির ডামাডোল নতুন ইতিহাসের উপাদান। ৫ আগস্টের ঐতিহাসিক দিনটিতে বিগত বছরের সংগ্রামমুখর দিনগুলোর পুনরুল্লেখে যাব না। এ দিনে বরং দেখতে চাইব, যে বিপ্লব সাধিত হয় এক বছর আগে, তার বর্তমান ব্যঞ্জনা এবং আবেদনের সুর স্বর প্রসার সমাজে কতদূর ঘটেছে।দেশের বিগত বছরের গণবিপ্লবে শাসকের ক্ষমতাচ্যুতি ও দেশত্যাগের প্রধান কারণ, দোর্দ- প্রতাপে স্বেচ্ছাচারিতা, রোমহর্ষক নিপীড়ন ও তান্ডব এবং নির্বিচার লুটপাট। শাসনকেন্দ্রে যিনি ছিলেন প্রধান চরিত্র তার নামে তার তাঁবেই পরিচালিত হয়েছে সব দুষ্কর্ম। কর্তৃত্ব ছিল তার, হুকুম এবং প্রশ্রয়ও দিয়েছেন তিনি।
২০০৮-এর ডিসেম্বরে ১/১১ পরবর্তী নির্বাচনে পূর্বনির্ধারিত (প্রণব মুখার্জির লেখা বইয়ের ভাষ্যমতে) ফলাফলে তিন-চতুর্থাংশের নিরঙ্কুশ বিজয়ে (ড. ইউনূস বিষয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে হিলারি ক্লিনটনের ফোনালাপ) পতিত শাসক যখন হয়ে ওঠে বিপজ্জনক অহংকারী এবং নির্বাচন ও গণতন্ত্রবিনাশী, তখন থেকে দেড় দশক মানুষের বিরাগ ও ক্ষোভ এমন পুঞ্জীভূত হয়েছিল যে, তিনি নিজেই বোঝেন, দেশত্যাগেই তার প্রাণরক্ষা। এখানে বলতে হয়, গণআন্দোলনে পতিত শাসক এরশাদকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়নি। কিন্তু শেখ হাসিনাকে তার পারিবারিক সব সদস্যসহ সটকে পড়তে হয়েছে। এখানেই গত বছরের গণঅভ্যুত্থান পেয়েছে বিপ্লবের চারিত্র্য। সারা দুনিয়া বাংলাদেশের চব্বিশ জুলাই বিপ্লবের সূচনা বুঝতে না পারলেও চরম পরিণতি প্রত্যক্ষ করেছে। এখন থেকে দেড় দশক আগে গণতন্ত্রের জন্য, দেশবাসীর ন্যায্য অধিকার লাভের জন্য, মানুষের মতপ্রকাশের অবারিত সুযোগের জন্য, জনজীবনের সুলভ চাহিদা মেটানোর দাবিতে আফ্রিকা মহাদেশের উত্তরাংশে লেগেছিল বিপ্লবের ঢেউ। আরব বসন্তের ওই বিপ্লবে তিউনিসিয়ান জনমানুষের ২৮ দিনের অভিযানে স্বৈরশাসক জাইন এল আবিদিন বেন আলি ক্ষমতাচ্যুত হন। পাশের দেশ আলজেরিয়ায় মানুষের দাবির কাছে শাসক নত হয়ে গণতন্ত্রের সমঝোতার পথে এসে দেশকে গণতন্ত্রায়নের ধারায় এগিয়ে নিতে সম্মত হন। রাজতন্ত্রী মরক্কোতে গণতন্ত্রের বাতাবরণ উন্মুক্ত হয়। মহাদেশের দক্ষিণাংশে জিম্বাবুয়েতে স্বাধীনতার জনক রবার্ট মুগাবের লৌহশৃঙ্খল শাসনের অবসান ঘটে এবং তিনি পদত্যাগ করে তার এক অনুগামীর হাতে ক্ষমতার রাশ তুলে দেন।
নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় ঘটে পরিবর্তন। দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খল শাসননির্ভর দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবর্তনের তোড়ে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির রাজপথ হয়ে ওঠে উত্তপ্ত, বিক্ষুব্ধ। সেখানে নিয়ন্ত্রিত নির্ধারিত ফল ঘোষণার বানোয়াট নির্বাচনের ধারায় ঘটে ছেদ এবং ওলটপালট। চালু হয় সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক উন্মুক্ত নির্বাচনের বিশ্বস্বীকৃত সর্বজনীন ব্যবস্থা।মধ্যাঞ্চলীয় আফ্রিকার অন্য দেশেও গণতন্ত্র এবং মুক্ত, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ঢেউ আছড়ে পড়ে। সম্পদে সমৃদ্ধ কিন্তু দারিদ্র্য, দীর্ণ নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রমঞ্চে ও রাজপথে শুরু হয় পরিবর্তন সাধনের উচাটন ও গণমিছিল, বিক্ষোভ, উচ্ছ্বাস। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে স্বীকৃতিমূলক সমঝোতায় পৌঁছে রাষ্ট্র। তিউনিসিয়ার সেই বিপ্লবে এখন চলছে অপভ্রংশ। ২০১৯-এ প্রেসিডেন্ট হন সাংবিধানিক আইনের এককালীন অধ্যাপক কায়েস সাইদ। এখন রাষ্ট্র তার একক হুকুম বরদার। বাংলাদেশের বিগত গণঅভ্যুত্থান, গণবিপ্লব আসে শ্রীলঙ্কার ঝোড়ো বাতাসের ঝাপটায়। কিন্তু এর ক্ষেত্র উত্তপ্ত হয় অনেক আগে থেকে। এ বিষয়ে লেখার শুরুতেই রয়েছে ইঙ্গিত। ১/১১-তে দেশে সেনা হস্তক্ষেপে ঘটানো হয় পরিবর্তন। দুই বছর ধরে ‘বামন’ মঈন ও ফখরের যুগলবন্দি ব্যবস্থায় চালু থাকে তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। দুই বছর চলে দেশ জুড়ে সেনাপ্রধান মঈনের ছদ্মশাসন।
তার প্রকাশ ছিল, টার্গেট কিলিং ও গ্রেপ্তার-গুম-লুট-ক্রসফায়ার এবং নতজানু আদালতের রায়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মন্দরূপে চিহ্নিত করে কারান্তরীণ রাখা।অবশেষে আসে সবল প্রতিবেশী ভারতের শাসন কর্তৃপক্ষের প্রায় প্রকাশ্য হস্তক্ষেপ। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখার্জির বইয়ের আত্মকথনে সব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দেশের জনগণের সামনে ‘বামন’ মঈনের স্বরূপ স্পষ্ট হয়। কিন্তু এও আজ নির্মোহ বিশ্লেষণে বলতে হবে যে, পূর্ববর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকারের শাসন কার্যক্রমে বিদ্যমান বিশৃঙ্খলা, সঠিক পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে শৈথিল্য, দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প ও বাণিজ্য খাতের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অবকাঠামোর বিন্যাস স্থাপনে নিরুদ্যম উদ্যোগহীনতার উপজাত ফলাফল ছড়িয়ে পড়ে সমাজে। অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে দৈনন্দিন বাজারে তখন দেখা দেয় ক্রমিক মূল্যবৃদ্ধি আর মানুষের হা-হুতাশ। শুরু হয় বাজার সিন্ডিকেট নামক নতুন এক শব্দের গুঞ্জন। একই সঙ্গে চলে আর্থিক দুর্নীতির নানা কথার চালাচালি।
এরই মধ্যে সাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পূর্ব প্রচলিত ধারার বিপর্যয় ঘটে এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতিকে নিতে হয় প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব। রাষ্ট্রের উপরিকাঠামোতে ওই ভ্রষ্টতায় ক্ষমতার হাতবদল পড়ে তীব্র প্রশ্নের মুখে। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে ষড়যন্ত্রের ষোলোকলা পূর্ণ হয়ে আসে কুখ্যাত ১/১১-এর জরুরি অবস্থা।আমাদের গত বিপ্লবের আবেদন এক বছরে লোকসমাজে কোথায় কতদূর পৌঁছাল কিংবা আদৌ ওই গণসংগ্রামের বিজয়ের সার-সংকলিত বাণী দেশবাসী উপলব্ধি করছে কি না, সেটাই এখন আমাদের জানা এবং বোঝা দরকার। আমেরিকার স্বাধীনতা ও বিপ্লবের ইতিহাস প্রবীণ জনজীবনে ততটা আলোচিত না থাকলেও তরুণতর জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই তা অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক এবং কলেজ-ভার্সিটির নানা স্টাডি-সেমিনার-পাঠচক্রের আলোচনায় তা বারবার অবশ্যই উঠছে। ‘জন্মে মানুষ মুক্ত কিন্তু প্রতি পদে সে শৃঙ্খলিত’ এমন চিরঞ্জীব বাক্য দিয়ে আমেরিকার সংবিধান যিনি রচনা করেছেন, সেই টমাস জেফারসন যিনি পরে রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন; তার কথার একটি উদ্ধৃতি এখানে দেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন ‘এভরি জেনারেশন নিডস আ নিউ রেভল্যুশন’, যার অর্থ দাঁড়ায়, প্রতি প্রজন্মেরই একটি নতুন বিপ্লব দরকার। এ বাক্যের দ্ব্যর্থক ব্যঞ্জনা আমাদের এবং বিশেষ করে তরুণদের বুঝতে পারা চাই। বিশ্বের বিস্ময় আজকের গণচীনে এক সময়কার কুখ্যাত চার কুচক্রী সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নামে ‘চলমান বিপ্লবের’ কথা বলেছিল।
সভ্যতার সূতিকাগার চীন দেশে ওই চার কুচক্রী নির্মূল হয়ে গেছে। হাজার বছরের জীবনাচারে পরিণত সমৃদ্ধ চীন এখন সংহত সুস্থিত রাষ্ট্রব্যবস্থায় নবতর অগ্রগতির পথের অভিসারী। মেয়াদি অবস্থান নির্দেশক ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন শি জিন পিং। তার অবস্থান এখন টলায়মান। উন্নয়নশীল অনুন্নত দুনিয়া শুধু নয়, উন্নত ইউরোপ অস্ট্রেলিয়াও এখন নানা চাহিদা পূরণে চীনের দুয়ারে প্রার্থী। রাষ্ট্রশাসন কাঠামোর উপরিস্তরকে যথার্থরূপে সংহত সুস্থিত করা এবং সেই সঙ্গে ওই কাঠামো পরিচালনার একটি মেয়াদভিত্তিক ব্যবস্থা নির্দিষ্ট করাই হচ্ছে আমাদের প্রধান কাজ।গণতন্ত্রের কালজয়ী সংজ্ঞাদানকারী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন ছিলেন তার দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার শতবর্ষের একক স্থপতি। ইতিহাস সচেতন সবারই এটা জানা। লিংকনের উদ্ধতির বাংলা তর্জমায় বলি ‘বসবাসরত জনগণেরই রয়েছে দেশ ও তার সব প্রতিষ্ঠানের মালিকানা। যখনই বিদ্যমান সরকারের প্রশ্নে তাদের মধ্যে দেখা দেবে বিরাগ, তারা এর সংশোধনে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে অথবা নিতে পারে এর উৎখাতে বৈপ্লবিক পন্থার আশ্রয়।’ উনিশ শতকের তিনের দশকে ফরাজী বিদ্রোহে ফরিদপুরের জমিদার মদন ঘোষকে দলবদ্ধ হয়ে কৃষকরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা করে, ইতিহাসে তা লিপিবদ্ধ আছে।
তখনকার ম্যাজিস্ট্রেট ওই হত্যাকান্ডের যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, তার হুবহু উল্লেখ পাঠকের ভাবনাকে নতুন করে উসকে দেবে বলে মনে করি। ওই ম্যাজিস্ট্রেট লিখেছিলেন ‘দে ওয়্যার নট ইনস্টিগেটেড বাই এ ডিজায়ার অব প্লানডার বাট অব রিভেঞ্জ ফর অপ্রেসরস অ্যান্ড এক্সটরশান প্র্যাকটিসড অন হিম।’ এর অর্থ দাঁড়ায়, তারা লুটের অভিলাষে নয় বরং তার তার নিপীড়করা যে বলপ্রয়োগ করত, সেজন্য ছিল প্রতিশোধ।একই সঙ্গে উনিশ শতকের ছয়ের দশকের যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির বাক্যও উল্লেখ করা যেতে পারে। তিনি বলেছেন ‘দৌজ হু মেইক পিসফুল রেভল্যুশন ইমপসিবল, উইল মেইক ভায়োলেন্ট রেভল্যুশন ইনএভিটেবল।’ সাংবিধানিক গণতন্ত্রের বিন্যাসে-সৌকর্যে ও সর্ববিস্তৃত সমৃদ্ধির শিখরে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের বিগত ও পূর্ববর্তী শতকের প্রেসিডেন্টবর্গের বাণীর উদ্ধৃতিতে আমাদের রাষ্ট্রে সংঘটিত বিপ্লবের যথার্থতা স্পষ্ট হলেও এর গন্তব্য কী, তা নিরূপণ করাই এখনকার কাজ। এজন্য আমরা মুক্ত বিশ্বের চিন্তা ও লেখার জগতের কালোত্তীর্ণ দিকপাল জর্জ অরওয়েলের বাক্যের আশ্রয় নিয়ে বলতে পারি, ‘বাইরেভল্যুশন উই বিকাম মোর আওয়ারসেলভস, নট লেস।’
এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে বিপ্লবের মাধ্যমে স্বীয় সত্তায় ঘাটতি ছাড়া আমরা আরও বেশি আমাদের নিজস্বতায় স্থিত হই। এ কথার মর্ম অনুধাবনে আমাদের এখনকার আঁকা দেয়ালচিত্রে এবং দেয়ালিকার শব্দাবলিতে চোখ রাখতে হবে।যে দেয়ালের কথা কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বলে গেছেন।বিপ্লবকে জাগরূক রাখতে আমাদের সবাইকে স্বীয় সত্তায় জেগে উঠতে হবে, রাষ্ট্রকে পূর্ণরূপ ঘাটতিবিহীন গণতন্ত্রে রূপ দিতে জনগণকে পাস্পরিক মর্যাদায় চিনতে হবে, বুঝতে হবে এবং মুক্ত সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে মেয়াদি সরকার গঠন করে লুট-নিপীড়ন-বলপ্রয়োগ ব্যতিরেক রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালনায় সৎ, নিষ্ঠাবান হতে হবে। সভ্যতার চাহিদায় আমাদের সবাইকে হতে হবে সহমর্মী, পরমতসহিষ্ণু।১৮ শতকের শেষভাগে ১৭৮৯ সালে পাঁচ বছর ধরে চলা ফরাসি বিপ্লব ইউরোপকে বিরাটভাবে নাড়িয়ে গেলেও বিশৃঙ্খলা, জবরদস্তি অর্থ আদায়, বখরাখোরি এবং চারিত্রিক নানা অভিযোগে রবোস্পিয়ের, দাঁতোসহ বিপ্লবের নায়কদের একে একে বলি হতে হয় গিলোটিনে। তবু অন্যতম বিপ্লবনায়ক সাঁ জুস্ত উচ্চারিত সেই সেøাগান ‘ভিভো লু রেভুলুজঁ’ বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক, আজ সোয়া দুইশ বছর পরও ধ্বনিত হচ্ছে দিক থেকে দিগন্তরে। বিগত বিপ্লবের সুরে জাতীয় কবি চির বিদ্রোহী সত্তা কাজী নজরুলের বাণীতে আসুন বলি ‘নবজীবনের গাহিয়া গান/সজীব করিব মহাশ্মশান।’ ওই শ্মশান শব্দের ছান্দসিক এবং কালিক ব্যাপ্তি বিচার বাদ দিয়ে পাকিস্তানি বিএনআর (ব্যুরো অব ন্যাশনাল রিকনস্ট্রাকশান্স) পাঠ্যপুস্তকে বসিয়ে দেয় গোরস্তান শব্দটি। বিকৃতি সাধনের ওই যে ধারা, আজও তা চলছে হরদম। আমাদের বিপ্লবের মূল সুর স্বর বিকৃতি এড়িয়ে থাকুক,জেগে থাকুক মৌল রূপে এই আমাদের সকলের প্রার্থনা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন