চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন হিরো আলম নির্বাচন কমিশনারকে

চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন হিরো আলম নির্বাচন কমিশনারকে
MostPlay

হিরো আলম ফল পাল্টানোর যে অভিযোগ করেছেন তার ভিত্তি নেই এবং ওই আসনে উপনির্বাচনের ফলাফল শতভাগ সঠিক- নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানার এই মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন হেরে যাওয়া আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। বগুড়ার দুটি আসনের উপনির্বাচনের দুদিন পর শুক্রবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বগুড়া-৪ আসনের কাহালুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরতে গিয়ে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়েন তিনি।

হিরো আলম নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘হিরো আলম আর তানসেনের (বিজয়ী প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন) মধ্যে গণভোট দেন। জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে কি দেয়নি, ফলাফল চুরি করেছেন কী না সেটা দেখাব।’ তিনি বলেন, ‘গণভোটে প্রতিটা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দিবেন এবং যারা নির্বাচন কমিশনার আছেন, তারা সবাই সেই ভোট দেখবেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, যদি গণভোটের মাধ্যমে হেরে যাই, আমি আর কোনোদিন নির্বাচন করব না; নির্বাচনের নামও মুখে আনব না।’

হিরো আলম আরো বলেন, ‘আমি চাই গণভোট হবে ব্যালটে। কারণ ইভিএমে কারচুপি হয়। আর কারচুপি করেই আমাকে হারিয়ে দিয়েছে তারা। আমি কাহালু উপজেলার প্রতিটা কেন্দ্রে ঘুরছি। ভোটাররা আমার হেরে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না। তারা বলছে আপনার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে।’

তিনি ফলাফল প্রত্যাখ্যান আগামী দু'তিন দিনের মধ্যে আদালতে রিট করবেন বলেও সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান তিনি। গত বুধবার বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন বিজয়ী হন।

মশাল প্রতীক নিয়ে তিনি পান ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম একতারা প্রতীকে ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট পান। ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে ৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই আসনে তিন লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯ জন ভোটারের মধ্যে ৭৮ হাজার ৫৭০ জন ভোট দেন, যা মোট ভোটারের ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password