রাজধানীতে চরমোনাই অনুসারীদের বিক্ষোভ

রাজধানীতে চরমোনাই অনুসারীদের বিক্ষোভ

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিনে হাতপাখা প্রতীকে মেয়র পদপ্রার্থী মুফতি ফয়জুল করীমসহ দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার (১৬ জুন) রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

আগামীকাল শনিবার (১৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আবার সমাবেশ করবে দলটি। শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোছাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।

তিনি বলেছেন, আগামীকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমাদের সমাবেশ হবে। বিকেল ৪টার সমাবেশে আপনারা সবাই থাকবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের পতন না ঘটবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আমরা এই সরকারের পতন ঘটাবই।

মোছাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, সব জায়গা ঘুরে দেখেছি, ওই যে নৌকার ৮৭ হাজার ভোট দেখিয়েছে, সেটা হাতপাখার ভোট। ৩৪ হাজার ভোট হচ্ছে নৌকার প্রকৃত ভোট। ওখানে আসলে নৌকা পাস করেনি, হাতপাখা পাস করেছে। সেখানে আওয়ামী লীগের কতজন লোক আছে, সেটা আমরা জানি।

তিনি আরও বলেন, খুলনাতেও হাতপাখার জয় হয়েছে। কিন্তু, সেখানেও ইভিএমে ষড়যন্ত্র করেছে। আমরা নিজেরা সেটি বুথে হাতেনাতে ধরেছি। জগদ্দল পাথরের মতো আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। সিইসি মানসিক রোগী। তার পদে থাকার কোনো যোগ্যতা নেই। এই মানসিক রোগীকে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করাতে হবে পাবনায় নিয়ে। এখানে সিইসিকে আর রাখা যাবে না।

এ জালিম সরকারকে হঠাতে আমাদের রাজপথে থাকতে হবে। আমাদের একটাই কথা, এ জালিম সরকারকে আর থাকতে দেওয়া যাবে না। দলটির সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, শুধু বরিশাল আওয়ামী লীগ নয়, সরকার ও সারা দেশের আওয়ামী লীগ এ হামলায় জড়িত।

আওয়ামী লীগের নেতা ও সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন এ পাঁতানো নির্বাচনে জড়িত। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পল্টন মোড় হয়ে নাইটেঙ্গেল মোড়ে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password