প্রায় ৭ মাস পর আমদানিকৃত মহিষের মাংস নিলামে

প্রায় ৭ মাস পর আমদানিকৃত মহিষের মাংস নিলামে
MostPlay

নিলামে আড়াই কোটি টাকার মহিষের মাংস বিক্রি হলো মাত্র ৪ লাখ টাকায় ! ভারত থেকে আমদানির পর খালাস না হওয়া এসব হিমায়িত মাংস, আজ প্রথমবারের মতো নিলামে তোলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। ৭ মাস ধরে বন্দরে পড়ে থাকায় এগুলো খাওয়ার উপযোগী আছে কিনা, তা নিয়েও সন্দিহান নিলামে অংশগ্রহণকারিরা।

মাইকিং করে প্রকাশ্য নিলামে ভারত থেকে আমদানি করা ২৮ মেট্রিক টন হিমায়িত মহিষের মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখায় অনুষ্টিত হবে এই নিলাম। নিলাম উপলক্ষে রবিবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পার্শ্ববর্তী এলাকায় করা হয়েছে মাইকিং।

নিলামে অংশ নিতে আগ্রহীদের চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে দেখানো হচ্ছে ২৭ হাজার ৯৮০ কেজি ওজনের পণ্য চালান। একটি লটভুক্ত মহিষের মাংসের সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৯ টাকা। সেই হিসেবে প্রতি কেজি মহিষের মাংসের দাম ধরা হয়েছে ৮৭৫ টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, নারায়নগঞ্জের আমদানিকারক এনবি ট্রেডিং ভারত থেকে 'হালাল ফ্রোজেন বাফেলো মিট' আমদানি করে। পণ্যের চালানটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস নিতে গত ২ মে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে বিল অভ এন্ট্রি দাখিল করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে আমদানি করায় খালাস দেয়নি কাস্টমস।

প্রক্রিয়া শেষে পণ্য চালানটি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় কাস্টম কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা তুহিন চৌধুরী বলেন, 'আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাফেলো মিটের মেয়াদ রয়েছে। যেহেতু এটি পচনশীল পণ্য, তাই স্পট নিলামের মাধ্যমে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নিলামের বিষয়ে রোববার কাস্টমসের নিলাম শাখার পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাইকিং করা করা হয়। আশা করি সোমবারের নিলামে ফ্রোজেন মিট বিক্রি হয়ে যাবে।' কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, নিলামে সংরক্ষিত পণ্যের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য পাওয়া গেলে পণ্য বিক্রির বিধান রয়েছে। সেই হিসাবে পণ্য চালানটির দাম ১ কোটি ৪৬ লাখ ৯০ হাজার ৬৩৯ টাকা হলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলামে বিক্রি করতে পারবে। এতে কেজিপ্রতি দর পড়বে ৫২৫ টাকা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password