সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক হেনস্থার শিকার

সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক হেনস্থার শিকার

মুক্ত গণমাধ্যম হলো গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ, যা ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর। কিন্তু সাম্প্রতিককালে সেই কণ্ঠস্বর রোধ করার জন্য যে ধরনের ভয়ঙ্কর আক্রমণ নেমে আসছে, তার এক মর্মান্তিক উদাহরণ হলো দৈনিক মানবাধিকার প্রতিদিনের নোয়াখালীর স্টাফ রিপোর্টার ও সাম্প্রতিক নিউজ এজেন্সীর প্রতিনিধি সাংবাদিক [ লামিয়া ইসলাম নওশিন]-এর উপর হামলা। [লামিয়া ইসলাম নওশিন] যখন [সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্র: দ্বি পাক্ষিক বিবাহ,তালাক ও পারিবারিক সমস্যা সংক্রান্ত একটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ  প্রতিবেদন তৈরি করছিলেন, তখন তিনি উক্ত সংবাদ সংগ্রহের সময় হেনস্থার শিকার হন।  এটি আমাদের সমাজে সত্য প্রকাশের স্বাধীনতার উপর নেমে আসা এক গভীর সংকটের চিত্র।

‎ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ: দ্বি পাক্ষিক বিবাহ,তালাক ও পারিবারিক সমস্যা সংক্রান্ত একটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ  প্রতিবেদন তৈরি করছিলেন উক্ত সংবাদ সংরক্ষণের সময় হেনস্থার শিকার হন।

‎দৈনিক মানবাধিকার প্রতিদিনের নোয়াখালীর স্টাফ রিপোর্টার ও সাম্প্রতিক নিউজ এজেন্সীর প্রতিনিধি সাংবাদিক [ লামিয়া ইসলাম নওশিন],

‎সংবাদ সংগ্রহের চূড়ান্ত পর্যায়ে, ঠিক তখনই শুরু হয় হুমকি। সংবাদ সংগ্রহের সময় বিপক্ষের লোকজন অশালীন ভাষায় তাঁকে কাজ বন্ধ করার জন্য ধমকানো হয়। এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্য করে কুৎসিত মন্তব্য ও অপ্রত্যক্ষ হুমকি দেওয়া হয়।

‎দ্বি পাক্ষিক বিবাহ,তালাক ও পারিবারিক সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি যখন ঐ  স্থানে কিছু সত্যতা যাচাই করতে যান, ঠিক তখনই ২০-২৫ জনের একটি দল তাঁকে ঘিরে ধরে। এই হামলা ও হেনস্থার তীব্রতা ছিল নজিরবিহীন। তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়, ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় এবং তাঁর ক্যামেরা ও রেকর্ডার কেড়ে নিয়া হয়। হামলাকারীরা তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাঁর মুখ বন্ধ করার জন্য জোর করে চাপ সৃষ্টি করে। এই ঘটনার ফলে সে শারীরিক এবং মানসিকভাবে চরম আঘাত পান।

‎এই হামলার চরম পর্যায় ছিল সরাসরি প্রাণনাশের হুমকি। হামলাকারীরা স্পষ্ট ভাষায় জানায়, "এই রিপোর্ট যদি প্রকাশিত হয়, তবে তোমার আর তোমার পরিবারের একজনেরও নিস্তার নেই। তোমরা শেষ হয়ে যাবে।" এই হুমকি কেবল তাঁর পেশাদারিত্বের ওপর নয়, ব্যক্তিগত জীবনের নিরাপত্তার ওপরও সরাসরি আঘাত। এই ঘটনার পর তাঁর কাজের স্বাভাবিক পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়।

‎সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটে যখন [ লামিয়া ইসলাম নওশিন] সংবাদমাধ্যমের অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, ঠিক সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা জোড় পূর্বক প্রবেশ করে এবং ইট পাথর ছোড়ে, জানালা ভাঙে। ওই সময় বাড়িতে তাঁর পরিবারের  সকল সদস্যেরা উপস্থিত ছিল।

‎হামলাকারীরা বাড়ির বাইরে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং দরজা ধাক্কাতে থাকে। এই ঘটনায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা মানসিকভাবে  বিপর্যস্ত।

‎[লামিয়া ইসলাম নওশিন] যে রিপোর্টটি তৈরি করছিলেন, তার মূল বিষয়বস্তু ছিল দ্বি পাক্ষিক বিবাহ,তালাক ও পারিবারিক সমস্যা সংক্রান্ত একটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ  প্রতিবেদন। রিপোর্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল একটি ভিডিও রেকর্ডিং,  এই ভিডিও ফাঁস হলে সামাজিক জীবনের অবসান হতে পারত। মূলত সেই জন্যই এই সংবাদ প্রকাশের আগেই সাংবাদিককে স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password