এইদিন স্বামীর কাজের মূল্যায়ন করার দিন

এইদিন স্বামীর কাজের মূল্যায়ন করার দিন

বাবা দিবস, মা দিবস ঘটা করে এখন আমাদের দেশেও পালিত হয়। তবে তার সীমাবদ্ধতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েই হোক আর বাড়িতে বাবা মায়ের জন্য কেক নিয়ে। তবে স্বামী বা স্ত্রী দিবস পালনের তেমন আয়োজন দেখা যায় না কোথাও। হয়তো অনেকে জানেনই না এই দিবস সম্পর্কে। 

আজ স্বামীকে সমাদরের দিন। অর্থাৎ স্বামী দিবস কিংবা  ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’।  এইদিন স্বামীর কাজের মূল্যায়ন করার দিন। এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার পালিত হয় এই দিবসটি। বিশ্বের অনেক দেশে আবার স্বামী দিবস পালন করা হয় জানুয়ারির ২৬ তারিখে। এর মাস কয়েক পরই আসছে ‘ওয়াইফ অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ অর্থাৎ স্ত্রী সমাদর দিবস। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় শনিবারে এই দিবস।

তবে এই দিবসে স্বামীকে সমাদর পেতে স্বামীর অবশ্যই কিছু গুণ থাকা জরুরি। যেমন স্বামী অত্যন্ত পরিশ্রমী হবেন, তিনি একজন নিঃস্বার্থ প্রেমিক ও বন্ধু হবেন, স্ত্রীকে খুশি রাখতে পারবেন, হাসাতে পারবেন এবং স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে হবেন যথেষ্ট সহায়ক ও আন্তরিক। এই পর্যায়ে স্বামীদের বলছি, কতগুলো বিষয় আছে, যা স্ত্রীদের বিরক্তির উদ্রেক করে। সেগুলো এড়িয়ে চলুন।

সমাদর পেতে স্বামীকে অবশ্যই হতে হবে পরিশ্রমী, একজন নিঃস্বার্থ প্রেমিক ও বন্ধুএই দিনটিকে আরো মধুর করতে আপনার সঙ্গীকে কিছু উপহার দিতে পারেন। তার পছন্দের খাবার রান্না করতে পারেন। বর্তমানে ঘরবন্দি জীবনে হয়ে উঠতে পারেন একে অপরের সহায়ক। সারা বছর স্বামীর কাজের প্রশংসা করতে না পারলেও, আজ তার সেরা সুযোগ। স্বামীকে তার কাজের জন্য প্রশংসা এবং ভালো কিছু কথা বলতে পারেন। 

এইদিনটি কবে কখন এবং কীভাবে এলো তার সঠিক কোনো ইতিহাস পাওয়া যায়নি। তবে অনেকেই মনে করেন, হাজব্যান্ড বা স্বামী হচ্ছেন পরিবারের কর্তা। বিয়ের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার স্ত্রী, সন্তান এবং পরিবারের সব দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অতীতে পরিবারের ভরণপোষণের জন্য স্বামীরাই কাজ করতেন। তবে বর্তমানে স্ত্রীরাও সমানতালে বাইরে কাজ করছেন। পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিচ্ছেন। এ কারণে পুরুষের অবদান যেন ভুলে না যায়। সে কারণে বছরের একটি দিন রাখা হয়েছে স্বামীদের জন্য। এদিন দায়িত্বশীল স্বামীদের প্রশংসা করেন স্ত্রীরা। আগামী দিনগুলোতে পরিবারের প্রতি আরো বেশি যত্নবান এবং দায়িত্ববান হওয়ার উৎসাহ যোগায়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password