আগামী দিনের যুদ্ধ হবে পানি নিয়ে

আগামী দিনের যুদ্ধ হবে পানি নিয়ে

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ গওহার নঈম ওয়ারা বলেছেন, ওয়াসার সুপেয় পানি ব্যবহার হচ্ছে গোসল, টয়লেট, ঘর মোছার কাজে। ভূগর্ভস্থ পানি তুলে চলছে দৈনন্দিন কাজ। পানি স্তর নামছে, লবণাক্ততা বাড়ছে স্বাদু পানিতে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে কোনো উদ্যোগ নেই। উপকূলীয় অঞ্চলে পানি কিনে খাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরকম অবহেলা, অপচয় চলতে থাকলে আগামী দিনের যুদ্ধ হবে পানি নিয়ে।

গত সোমবার তিনি বিডিটাইপকে বলেন, একবার টয়লেটে সাত লিটার পানি চলে যায়। এতে তো ওয়াসার সুপেয় পানি ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই। ভারতের রাজস্থানে বছরে সাত দিন বৃষ্টি হয়, ওরা বড় বড় পুকুরে তা সংরক্ষণ করে রাখে। আমাদের সাত মাস বৃষ্টি হয় বছরে কিন্তু পানি সংরক্ষণে কোনো উদ্যোগ নেই। কথায় আছে বোকার ফসল পোকায় খায়। আমরাও এরকম বোকামি করে চলছি। আমরা ভূগর্ভস্থ পানি উঠাতে গিয়ে আর্সেনিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছি। ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের আইন পাস করে কর্তৃপক্ষকে জোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

কর্তৃপক্ষ চাইলে বহুতল ভবনগুলোকে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে বাধ্য করা কোনো কঠিন কাজ নয়। সবকিছু সরকার করবে এরকম নয়, নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। গওহার নঈম ওয়ারা আরও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের পানিতে লবণাক্ততা বাড়ছে। লবণাক্ত পানি যশোর পর্যন্ত চলে এসেছে। সিডর, আইলার পরে আমরা চিংড়ি চাষ করতে গিয়ে লবণ পানি ডেকে এনেছি। উপকূলীয় অঞ্চলে পানি কিনে খাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। লবণ পানিকে পরিশোধন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে হবে, ভূগর্ভস্থ পানি স্তর বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। আগের দিনে কুয়া ছিল ভূগর্ভস্থ পানি স্তর বাড়ানোর প্রাকৃতিক ব্যবস্থা। সেগুলোও আমরা নষ্ট করে দিয়েছি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password