ট্যাটু নিয়ে ভয়ংকর তথ্য উঠে এল গবেষণায়

ট্যাটু নিয়ে ভয়ংকর তথ্য উঠে এল গবেষণায়

মানুষ যুগ যুগ শরীরে এসব ট্যাটু আঁকিয়েছে। কখনো সামাজিক পদমর্যাদার চিহ্ন হিসেবে, কখনো ভালোবাসার প্রকাশ রূপে, আবার কখনো ধর্মীয় বিশ্বাসে।যাদের শরীরে ট্যাটু বা উল্কি আঁকা রয়েছে তাদের লিম্ফোমা নামের এক ধরনের ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার তীব্র ঝুঁকি রয়েছে। গবেষণাটি সুইডেনের এক দল বিজ্ঞানী করেছেন। এতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, ট্যাটু করা ব্যক্তিদের শরীরের লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমে ক্যানসার আক্রান্তের ঝুঁকি ২১ শতাংশ বেশি হতে পারে। খবর এনডিটিভি।

গবেষকরা বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। গবেষণাটি ১১ হাজার ৯০৫ জনের তথ্য বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে, যার মধ্যে ২ হাজার ৯৩৮ জন লিম্ফোমা আক্রান্ত। তাদের অধিকাংশের বয়স ২০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। লুন্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক ক্রিস্টেল নিলসেন এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন।

তিনি জানান, ট্যাটুর কালি ত্বকে ইনজেকশন করা হয়, তখন শরীরের রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) এটিকে বিদেশি কিছু হিসেবে চিহ্নিত করে যা সেখানে থাকা উচিত নয়। এ সময় এর বিরুদ্ধে ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় হতে থাকে। এসময় কালির একটি বড় অংশ চামড়া থেকে সরে গিয়ে লিম্ফ নোডগুলোতে আশ্রয় নেয় বা জমতে থাকে।

গবেষণা দলটি জানতে পেরেছে, ছড়িয়ে পড়া বড় বি-সেল লিম্ফোমা এবং ফলিকুলার লিম্ফোমায় আক্রান্তদের ক্যানসারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে লিম্ফোমা একটি বিরল রোগ যা ট্যাটুর আকারের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। গত কয়েক দশক ধরে গায়ে ট্যাটু বা উল্কি আঁকা এক ধরণের ফ্যাশনের অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে।

আগে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এমন রঙ-বেরঙের উল্কি আঁকা শরীরের ক্ষতিকর হয়ে উঠছে। কারণ এতে কিছু রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যা এমনিতে ক্ষতিকারক না হলেও কোন প্রাণির চামড়ার সংস্পর্শে আসলে তা ক্ষতি করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রসাধনী ও ট্যাটুতে যেসব রঞ্জক পদার্থ ব্যবহার করা হয় তা সহজেই শরীরের মধ্যে ঢুকলে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।

এমনকি পরবর্তীতে জিন মিউটেশন হয়ে ক্যানসার বা অন্যান্য মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। ২০২২ সালে উল্কি আঁকার ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পাশাপাশি ত্বকের ক্ষতি করে এমন রাসায়নিক পদার্থ প্রসাধনীতে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password