ঠোঁটের কালচে দাগ দূরীকরণ

ঠোঁটের কালচে দাগ দূরীকরণ

প্রাণোচ্ছল মুক্ত হাসি যেকোনো মানুষের ব্যক্তিত্বকে আরো সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলে। এই সুন্দর হাসির প্রাণ হলো সুন্দর ঠোঁট। কালচে ভাব ঠোঁটের সৌন্দর্যকে অনেকাংশেই ম্লান করে দেয়। নানা কারণে আমরা আমাদের প্রাকৃতিক রঙ হারাতে থাকি ঠোঁটের। সে কারণে প্রায় অনেকসময়ই বিব্রত হতে হয় আমাদের। 

সবসময় দেখা যায় অনেকেই মুখের যত্ন,শরীরের যত্ন নিয়মমাফিক নিচ্ছে কিন্তু অবহেলায় পড়ে যাচ্ছে ঠোঁটের যত্ন। কিভাবে আমরা যত্ন নিতে পারি ঠোঁটের আজ তাই জানবো। 

প্রথমে জেনে নিই ঠোঁট কালো কেন হয়ে যায়- 

⭕অনেক কারণেই ঠোঁটের কালচে ভাবটা আসে বা মলিন হয়ে যায় যেমন - প্রচুর স্ট্রেস,রোদে বেশি সময় ধরে থাকা, আবহাওয়ার পরিবর্তন, ধূলা বালির মধ্যে বেশি সময় থাকলে, বাতাসের আর্দ্রতা, পানি বা অন্যান্য পানীয় কম পরিমাণে পান করলে, শারীরিক কোন অসুস্থতা থাকলে, নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী বিশেষ করে লিপ্সটিক ব্যবহার করলে ইত্যাদি।

এবার জেনে নিই কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে দূর করতে পারবেন এই কালচে ভাব -

☑️প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করার সময় হালকা হাতে টুথব্রাশটি দিয়ে ঠোঁটে একটু ব্রাশ করলে ঠোঁটের মৃত কোষগুলো উঠে যাবে। ফলে ঠোঁট মলিন হয়ে থাকবেনা, সতেজ হবে। রক্ত চলাচল ও ভালো হবে।তবে অবশ্যই হালকা ভাবে চালনা করতে হবে টুথব্রাশটি।

☑️প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা হাতে ঠোঁটে ম্যাসাজ করতে হবে। এটা আপনি করতে পারেন দৈনিক ব্যবহৃত পমেট বা ভ্যাসলিন দিয়ে বা কোনো লিপ ওয়েল দিয়ে।আরো ভালো হয় যদি লেবুর রস এবং বাদাম তেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে সেটা দিয়ে ৪/৫ মিনিট ম্যাসাজ করা হয়। লেবুর রসে ন্যাচারাল ব্লিচিং উপাদান থাকে। এতে আপনার ঠোঁটের কালচে দাগ উঠে যাবে এবং বাদাম তেল ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখবে।ফলে ঠোঁট মলিন হয়ে যাবেনা। 

☑️বাদাম তেল যদি নাও থাকে তবুও চিন্তা নেই। বাদাম তেলের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন মধু। মধুও ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কম নয় কোনো অংশে।

☑️ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ ফিরিয়ে আনতে স্ক্রাবিং অবশ্যই করতে হবে। ন্যাচারাল স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন চিনি এবং দুধের সর। এতে মরা কোষগুলো উঠে আসবে এবং ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ ও ফিরে আসবে ধীরে ধীরে।

☑️ শসার রস ঠোঁটকে গোলাপি করে তুলতে সাহায্য করে। শুধুমাত্র ৫ মিনিট প্রতিদিন শসার রস দিয়ে হালকা হাতে ঠোঁট ম্যাসাজ করলে অনেকটাই রঙ এর পরিবর্তন আসবে ঠোঁটের।

☑️বাইরে থেকে এসে ঠোঁটে কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকলে যেমনঃ লিপ্সটিক, অবশ্যই তুলে ফেলতে হবে। সেজন্য ব্যবহার করা যাবে অলিভ ওয়েল, বাদাম তেল এবং এর মধ্যে কোনোটাই না থাকলে নারকেল তেল ও ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু কখনোই লিপ্সটিক না তুলে ঘুমাতে যাওয়া যাবেনা।

  ঠোঁট কালো হওয়া রোধ করতে কিছু সতর্কতা পালন করা উচিত। যেমন- 

⚠️চা, কফি ঠোঁট কালচে হওয়ার পেছনে অনেকটাই দায়ী। তাই অতিরিক্ত চা, কফি এবং অন্যান্য গরম পানীয় পান করা এড়িয়ে চলতে হবে।

⚠️বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস দৈনিক। তাহলে ঠোঁটের পর্যাপ্ত আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

⚠️ ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা অবশ্যই পরিহার করতে হবে কারণ এটি ঠোঁট কালো করে দেয় অতি দ্রুত।

⚠️সরাসরি সূর্যের আলোতে গেলে সানস্ক্রিন লিপ ওয়েল বা সানস্ক্রিন আছে এমন পমেট ব্যবহার করতে হবে। কারণ সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ঠোঁটকে কালচে এবং মলিন করে ফেলে। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password