বুদ্ধিমান সুস্থ্য সন্তান পেতে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের করনীয় কি জেনে নিন

বুদ্ধিমান সুস্থ্য সন্তান পেতে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের করনীয় কি জেনে নিন

সকল মায়েরই আশা থাকে তার সন্তান যেন সুস্থ ও বুদ্ধিমান হয়। কিন্ত, একটি শিশুর ‘ইনটেলিজেন্ট’ হওয়া বা না-হওয়া অনেকটাই নির্ভর করে তার জিন-এর উপর। স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞের কথা অনুসারে, একটি শিশু যে জিন নিয়ে জন্মায়, সেটাই তার বুদ্ধিমত্তা ও চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্যের মূল কারণ হয়। কিন্তু, নতুন গবেষণায় একটি শিশুর আইকিউ লেভেল’ মাত্র ৫০% নির্ভর করে তার জিনের উপর। বাকিটার জন্য দায়ী থাকে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা।

কি করলে এবং কোন কারণে আপনার শিশুটি বুদ্ধিমান হয়ে জন্মাবে, গবেষণায় উঠে আসা সেই কারণগুলি জেনে রাখুন:

পুষ্টিকর খাবার :

শিশুর ‘ব্রেইন ডেভলপমেন্ট’-এর জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড খুবই জরুরি। তাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মাছ, সোয়াবিন, পালং শাক খাওয়া খুবই প্রয়োজন। অন্যান্য শাক যাতে আয়রন রয়েছে, এমন শাকও শিশুর ব্রেইনে অক্সিজেন সাপ্লাই করতে সাহায্য করে। আমন্ড ও ওয়ালনাটও এ সময় কার্যকরী।

ফিট ও অ্যাক্টিভ :

এক্সারসাইজ করলে শরীরে রক্তের প্রবাহ ভালো হয়, যা শিশুর বেড়ে ওঠায় সাহায্য করে। রিসার্চ বলছে, মা শারীরিক কসরত করলে, গর্ভের সন্তানের ব্রেইনে নিউরনের মাত্রা বেড়ে যায় প্রায় ৪০%। এটি মানুষের মনে রাখার শক্তি বহন করে।

কথা বলুন গর্ভস্থ সন্তানের সঙ্গে :

অন্তঃসত্ত্বা (pregnant) অবস্থায় একই সূরা বা দোয়া যদি বারবার শোনা যায়, রিসার্চ বলছে, জন্মের পরে সেই সূরা বা দোয়া শুনলে শিশুটি চিনতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গর্ভস্থ সন্তানের সঙ্গে সুন্দর কিছু কথা বলতে।

গল্প সেশন :

অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার তিন মাস পর থেকেই গর্ভের সন্তানটির আওয়াজ বা শব্দ মনে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, জানাচ্ছেন প্যারেন্টিং এক্সপার্ট পলি সেনগুপ্ত। তার মতে, মা বা বাবা যদি লাগাতার ছোটদের কোনো গল্প জোরে জোরে পড়ে, সে ক্ষেত্রে শিশুটির ব্রেইন সেই শব্দগুলি মনে রাখে।

হাল্কা ম্যাসাজ :

রিসার্চ বলছে, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২০ সপ্তাহ থেকেই মায়ের পেটের উপর হাত রাখলে, শিশুটি তা বুঝতে পারে। রিসার্চে এমনও তথ্য বলা হয়েছে যে, শিশুটি বাবা-মায়ের স্পর্শও বুঝতে পারে। তাই পেটের উপর তেলের ম্যাসাজ খুবই উপকারি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password