ফুটপাত-সড়কে কিছু পেলেই নিলাম

ফুটপাত-সড়কে কিছু পেলেই নিলাম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার ফুটপাত ও সড়কে নির্মাণ সামগ্রী, স্থায়ী বা অস্থায়ী দোকান, অবকাঠামো ইত্যাদি পাওয়া গেলে নিলাম করা হবে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। আর সেই নিলাম তাৎক্ষণিকভাবে করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি জানান তিনি।শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক ভার্চ্যুয়াল সভায় ডিএনসিসি কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে নির্দেশ দেন আতিকুল ইসলাম। 

ফুটপাত ও সড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ডিএনসিসির প্রতিটি জোনে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে একযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। একইসঙ্গে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ কাজে বাধা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই জেল-জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র। ফুটপাত ও রাস্তা শুধু নাগরিকদের ব্যবহারের জন্য ও দখলমুক্ত করতেই এমন কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন আতিকুল ইসলাম।

সভায় মেয়র আতিক বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে এসব অভিযান পরিচালনা করতে হবে। একই সঙ্গে স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনো দোকান বা অবকাঠামো ইত্যাদি পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তা ভাঙতে অভিযানে পে-লোডার ও বুলডোজারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সঙ্গে নিতে হবে। দখলের সঙ্গে জড়িত কাউকেই কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। বাধা দিলেও শাস্তি দেওয়া হবে। আর মালামাল জব্দ করার পরপরই প্রকাশ্যে নিলামে তোলা হবে। সেই অর্থ জমা হবে করপোরেশনের ফান্ডে।  

‘নগরবাসী যেন স্বাচ্ছন্দ্যে রাস্তায় ও ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে পারেন তা নিশ্চয়তার দায়িত্ব আমাদের। তাই ফুটপাত দখলধারীর হতে পারে না। ফুটপাত ও রাস্তা হবে শুধু জনগণের। মোবাইল কোর্ট ও নিলাম কার্যক্রম শুরু হবে। ’ মেয়র বলেন, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন যে সব জলাশয়ে কচুরিপানা পরিষ্কার করা হচ্ছে না, মশা থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে, কচুরিপানা পরিষ্কারে বাধ্য করতে হবে। এছাড়া অবৈধ বিলবোর্ড ও বিজ্ঞাপন প্রচারকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।সভায় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password