হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছেন

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছেন
MostPlay

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান জননেতা মিজানুর রহমান মিজু।

আজ ৫ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার সকাল ৯.৩০ টায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় তিন নেতার মাজারে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির উদ্যোগে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “ভারতীয় উপমহাদেশের মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন একজন উদার ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর দক্ষ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আরো বিকশিত হয়। তার সুযোগ্য উত্তরসূরি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব পাকিস্তান সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে। তার অবদান জাতি সব সময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।”

তিনি আরো বলেন, “১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, সেটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফল ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের অবিস্মরণীয় বিজয়। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, তাই সুধী সমাজে তিনি ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত হন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এ দেশের শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন।”

মিজানুর রহমান মিজু জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির পক্ষ থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান জননেতা মিজানুর রহমান মিজুর নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহাবুদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঝিনাইদহ জেলা আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ মিয়া, সদস্য নাছির মিয়া, আশরাফ চৌধুরী, আওয়ামী প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান প্রমুখ।
 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password