মৃত্যু হলেও জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল না দিয়ে যাবো না

মৃত্যু হলেও জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল না দিয়ে যাবো না

আজ মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টার দিকে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ আমাদের ওপর প্রথমে লাঠিচার্জ, তারপর টিয়ারসেল-গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, আজকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নেতাকর্মীরা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিল।

মৃত্যু হলেও জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল না দিয়ে যাবো না। আমান উল্লাহ বলেন, মহানগর নেতাকর্মীরা জিয়ার মাজারে এসেছে। আসার পরই পুলিশের গুলিতে আমাদের ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ শত শত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম গুলি আসুক, টিয়ারসেল আসুক, মৃত্যু হোক, আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে আমরা যাবো।

সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে মাত্র ১০/১৫ সামনে এগুচ্ছিলাম। এর মধ্যে আমাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। আমার পিঠে, মাথায় অনেক গুলি লেগেছে। আমি কাতরাতে কাতরাতে এখানে এসেছি। আমার নেতার মাজারে এসেছি। আমান উল্লাহ আমান আরো বলেন, আমাদের নেতা দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব যুবনেতা রাজপথের সাহসী নেতা রফিকুল আলম মজনু এসেছেন এবং আমাদের নেতাকর্মীরা এখানে এসেছেন। আমাদের মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির নেতারা আসবেন, আমরা এখান থেকে ফুল দিয়ে যাবো।

কিন্তু যদি মৃত্যুও হয়, জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল না দিয়ে যাব না। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, দেখবেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, জনগণের ভোটাধিকারের জন্য আমরা এসেছি, আমরা আসবো। হয়তো একদিন আমাদের পাশে লেখা থাকবে ‘শহীদ’। সেই শহীদ হলেও আমরা চূড়ান্ত লক্ষ্যে ইনশাল্লাহ পৌঁছাব। হয়তো আমি মৃত্যুবরণ করতে পারি, আব্দুস সালাম, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু মৃত্যুবরণ করতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে বিএনপি এগিয়ে যাবে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের শ্রদ্ধা জানানোর সময় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সদ্য গঠিত বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটির নেতাদের জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি ছিল।

সেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যাওয়ার কথা ছিল। এ কর্মসূচিতে দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী সকাল থেকে মাজারে জড়ো হতে থাকেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ নেতাকর্মীদের জিয়ার মাজারে অবস্থান ও জনসমাগমে বাধা দেয়। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বাদানুবাদ ও একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীকে ছত্রভঙ্গ করতে মুহুর্মুহু টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান এবং সদস্যসচিব ও ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, বিনা কারণে পুলিশ তাঁদের ওপর টিয়ার শেল ও গুলি চালিয়েছে। তবে পুলিশের অভিযোগ, বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি এখন শান্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password