আবিষ্কার হলো দ্রুত চেহারা ফর্সা করার প্রাকৃতিক পদ্ধতি

আবিষ্কার হলো দ্রুত চেহারা ফর্সা করার প্রাকৃতিক পদ্ধতি

প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় অথবা নিয়ম ব্যবহার করে দ্রুত ত্বক ফর্সা করার অনেক পদ্ধতি প্রচলিত আছে আমাদের সমাজে। ত্বক ফর্সা করার ঔষধ হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে জন্য অনেকেই নানারকম ক্রিম বাজার থেকে কিনে ব্যবহার করে থাকেন।
কিন্তু বাজারের বেশিরভাগ ক্রিমেই চড়া রাসায়নিক পদার্থ থাকায় ত্বক ফর্সা হওয়া দুরের কথা বরং বেশিরভাগ ফলাফলই হয় তার উল্টো। যুগে যুগে মানুষ নিজের সৌন্দর্য নিয়ে ভেবেছে। নিজেকে যাতে অন্যের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, সেজন্য চেষ্টার ত্রুটি রাখেন না সৌন্দর্য পিপাসু পুরুষ বা মহিলারা।

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা ব্যস্ত জীবনে সবসময় নিজের যত্ন ঠিকমতো নেওয়া খুবই মুশকিল। তা ছাড়া দিনদিন পরিবেশও দূষণযুক্ত হয়ে পড়ছে। এতে করে নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখা আসলেই ভীষণ মুশকিল। অথচ নিজেকে সবসময় সুন্দর ও আকর্ষণীয় রাখাটা যেন জীবনেরই একটা অংশ। আধুনিকযুগে এ কথার সত্যতা অনস্বীকার্য। নারী বা পুরুষ, একটি সুন্দর মুখের কদর কিন্তু সর্বত্রই। আর তাই নিজেকে সুন্দর দেখাতে কে না চায়!

সেই আদি যুগ থেকেই গায়ের রং নিয়ে মানুষের নানান চিন্তা। অনেকেরই কাম্য একটি ফর্সা সুন্দর ত্বকের। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, শারীরিক অসুস্থতা, দীর্ঘসময় রান্নাঘরে কাজ করা ইত্যাদি নানান কারণে ত্বক হারিয়ে ফেলে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। হয়ে যায় কালচে ও বিবর্ণ। রং ফর্সাকারী ক্রিমের কদর তাই কমে না কখনোই। কিন্তু আসলে সত্যিই কি এসব ক্রিমে গায়ের রং ফর্সা হয়? মুখের রং হয়তো একটুখানি উজ্জ্বল হয়, কিন্তু পুরো শরীরের ত্বক? সেটা কিন্তু আসলে হয়ে ওঠে না।

সুতরাং ত্বকে উজ্জ্বল্য আনার জন্য ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে বা বজায় রাখতে ঘরোয়া উপকরণই এখন সৌন্দর্য্য চর্চ্চা প্রাধান্য পাচ্ছে। নানা ধরনের ঘরোয়া ফেসপ্যাক রয়েছে ত্বকের উজ্জ্বলতায়। এর মধ্যে অতি সহজ ৩টি উপায় জেনে নিন। দেখবেন ব্যবহারে কেমন তাড়াতাড়ি ত্বক ফর্সা হয়ে উঠছে। চলুন তাহলে দেখা যাক পদ্ধতি সমূহ কি কি?

১. তেঁতুলের পাল্প ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে ২দিন এর ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।
২. লেবু ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে মিশ্রণটি লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। মিনিট ১৫ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এর ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।
৩. মুসুর ডাল বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। ভেজা মুসুর ডাল বেটে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
তাছাড়া শহুরে পার্লারগুলোতে আছে রঙ ফর্সা করার নানান আয়োজন। যেমন স্কিন ব্লিচ, ফেয়ার পলিশসহ আরও কত কী। কিন্তু জেনে রাখুন, এই সবই আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
তাহলে কী করবেন? প্রাকৃতিক উপায়ে এবং ঘরোয়াভাবে গায়ের রং ফর্সা করার রয়েছে সহজ উপায়। শুধু তাই নয়, এভাবে যে ফর্সা রঙটা আপনি পাবেন সেটা হবে স্থায়ী। সৌন্দর্য সেটাই, যা ভেতর থেকে আসে। আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রাকৃতিকভাবে রঙ ফর্সা করার আরো ২টি পদ্ধতি।

দুধ ও কাঁচা হলুদ: রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন। এভাবে পান করতে না পারলে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ পান করলে আপনার রং হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা।

দুধে কাঁচা হলুদ বাটা না মিশিয়ে করতে পারেন আরেকটি কাজ। দেড় ইঞ্চি সাইজের এক টুকরো হলুদ নিন। তারপর টুকরো করে কেটে এক গ্লাস দুধে দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধ গাঢ় হলুদ রঙ ধারণ করলে পান করুন। এভাবে প্রতিদিন একবার করে পান করতে থাকুন।

কাঁচা হলুদ : শুধু দুধের সঙ্গে নয়, বাহ্যিক রূপচর্চাতেও হলুদ আপনার রঙ ফর্সা করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে কালচে ছোপ দূর করতে এই পদ্ধতি খুব কার্যকর। উপকরণ : দুধ ৩ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, এবং কাঁচা হলুদ বাটা ১ চা চামচ।

কীভাবে ব্যবহার করবেন? দুধ, লেবুর রস ও হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রন বা পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে এই পেস্ট ভালভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। গরম পানিতে মুখ ধোবেন না এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা রোদে যাবেন না।

নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বকের রং হয়ে উঠবে ফর্সা, কোমল, দাগমুক্ত ও সুন্দর। তাহলে আর দেরি কেন? বাড়িতে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে নিজে থেকে হয়ে উঠুন ফর্সা, সুন্দর। ধন্যবাদ সবাইকে। ভাললাগলে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password