একজন শিশুর ঘোষণায় একটি রাজনৈতিক দল সৃষ্টি হতে পারে নাঃ জি এম কাদের

একজন শিশুর ঘোষণায় একটি রাজনৈতিক দল সৃষ্টি হতে পারে নাঃ জি এম কাদের

বহুদিন ধরেই সাবেক জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তার সন্তান এরিক এরশাদের সাথে জি এম কাদের এর তেমন একটা ভাল সময় কাটছে না। এদিকে গতকাল এরিক এরশাদ তার বড় মা রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির আজীবন চেয়ারম্যান এবং তার মা বিদিশা এরশাদকে দলের কো-চেয়ারম্যান করে দল ঘোষনা করে।

তার পরিপেক্ষিতে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেন, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন’ এমন এক ‘শিশুর’ ঘোষণায় একটি রাজনৈতিক দল সৃষ্টি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন সড়কে দুস্থদের মধ্যে খাদ্যপণ্য বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। জি এম কাদের বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে আইন ও বিভিন্ন নীতিমালা রয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের সঙ্গে কথা না বলেই তাকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার করা কতটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে, তা বিবেচনা করা উচিত ছিল। সংবাদ প্রকাশের আগে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল।’ কাদের ইন্ধনে এমন বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণমাধ্যমের উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখা।’ জি এম কাদের বলেন, ‘সন্ধ্যায় (গতকাল বুধবার) পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই তার। বরং পার্টিকে দক্ষতার সঙ্গে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন রওশন এরশাদ।

জি এম কাদের বলেন, ‘৬ লাখ কোটি টাকার বিশাল বাজেট আমাদের। বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে দেশে। কিন্তু করোনায় কর্মহীন পরিবারগুলো মারাত্মক অর্থসংকটে পড়েছে। বাজেট তৈরি হয় দেশের জনগণের ট্যাক্সের (কর) টাকায়। এই টাকার মালিক দেশের জনগণ। তাই মেগা প্রকল্প থেকে প্রতি মাসে দরিদ্র পরিবারপ্রতি অন্তত ১০ হাজার টাকা দিলে দেশের মানুষ বাঁচতে পারবে। লকডাউনও সফল হবে।

মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের চেয়ে মানুষের জীবন বাঁচানো জরুরি।’ করোনা–সংকট মোকাবিলা প্রসঙ্গে সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ‘আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালেও আইসিইউ তৈরি করতে পরামর্শ দিয়েছিলাম সরকারকে। কিছুই করা হয়নি। সরকারি হাসপাতালে যে আইসিইউ আছে, তার অনেকগুলোই অকেজো থাকে। বেসরকারি পর্যায়ে রাজধানীতে বেশ কিছু আইসিইউ আছে, যেগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সাধারণ মানুষের পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা নেওয়া কখনোই সম্ভব নয়।’

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password