মিনিকেট নাম দিয়ে চাল বিক্রি করা যাবে না, মিনিকেট নাম দিয়ে মানুষকে ঠকিয়ে চাল বিক্রি ও ছাঁটাই রোধে আইনটি এরই মধ্যে কেবিনেট মিটিংয়ে (খসড়া) চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। এখন সংসদে যাওয়ার অপেক্ষায়। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে আউশ প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ধানের বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালিযুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে এ দেশের কৃষকরাই মূল ভূমিকা পালন করে। দেশে ফসল উৎপাদন হলে খাদ্যের মজুত শক্তিশালী হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না। এবারে মাত্র ১১ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এই আমদানি করার ফলে যারা মজুতদার ছিল তারা বেকায়দায় পড়েছে। এছাড়া ওএমএস চালু করায় চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে বছরে কতটুকু সারের প্রয়োজন, কোন ফসলের জন্য কতটুকু সার দরকার, সরকার সেই হিসাব করে সার কেনে। করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেও অর্থের জোগান দিয়ে বিদেশ থেকে বেশি দামে সার কিনে ভর্তুকি দিয়ে সুলভ মূল্যে সার সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনের ধারা বজায় রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রী আরও বলেন, কিছু ব্যবসায়ী আছে যাদের অল্প লাভে পেট ভরে না। সেই ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি অফিসারদের সজাগ থাকতে হবে। সার, সেচ, কীটনাশক নিয়ে যেন কেউ অনিয়ম করতে না পারে। কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হিসাব রাখতে হয় আউশ, বোরো ও আমন কতটুকু উৎপাদন হবে এবং কতটুকু ঘাটতি হবে।
তাই সরকারের দেওয়া প্রণোদনার বীজ ও সারের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আউশের উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখুন। আউশ প্রণোদনা কর্মসূচি ২০২২-২৩ এর আওতায় সাপাহারে ১ হাজার ৯৩৫ জন, পোরশায় ১ হাজার ৯৩৫ ও নিয়ামতপুরে ৩ হাজারর ৫১০ কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
প্রত্যেক কৃষকের মাঝে পাঁচ কেজি ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে তিন উপজেলার চেয়ারম্যান, উপজেলার নির্বাহী অফিসার, কৃষি কর্মকর্তা ও তিন উপজেলার উপকারভোগী কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন