বগুড়ায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, দুই পক্ষে আহত অনেক

বগুড়ায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, দুই পক্ষে আহত অনেক
MostPlay

বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। বগুড়ায় বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ। অন্যদিকে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির।

পুলিশের দাবি মতে, তাদের ১০ জন সদস্য বিএনপির হামলায় আহত হয়েছে। পুলিশের ছুড়া গুলিতে অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন বলে দাবি বিএনপি নেতাদের। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ইয়াকুবিয়ার মোড়ে এবং পরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিএনপির নেতারা পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালান। এ সময় একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এখনো থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বগুড়ার বনানী থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনার নেতৃত্বে পদযাত্রা শহরের দিকে আসে। পদযাত্রাটি শহরের ইয়াকুবিয়ার মোড়ে পৌঁছলে পেছনে থাকা নেতাকর্মীরা সাতমাথার দিকে যেতে চায়।

এতে পুলিশ বাধা দিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল এবং হাতে থাকা লাঠি নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলামসহ ১০ জন আহত হন। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এর কিছুক্ষণ পর শহরের নবাববাড়ি সড়কে দলের কিছু নেতাকর্মী বিএনপির কার্যালয় থেকে বেরিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ শুরু করে।

সেখানে পুলিশ কয়েকটি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা দাবি করেন, পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। এতে অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের ইয়াকুবিয়ার মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করার কথা। পদযাত্রা নিয়ে সরাসরি সাতমাথায় যাওয়ার কোনো অনুমতি ছিল না। তারা পদযাত্রা নিয়ে সাতমাথায় যেতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। এ সময় তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তারা নবাববাড়ি সড়কে সদর ফাঁড়িতে হামলা চালায় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password