পরাজয়ে দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

পরাজয়ে দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের
MostPlay

আজ এশিয়া কাপের মঞ্চে পাল্লেকেলের গ্যালারিতে দেখা গেল নাগিন নৃত্য। সেই নাচটা নাচলেন শ্রীলঙ্কার দর্শকরা। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট লড়াই হবে আর গ্যালারিতে ‘নাগিন নৃত্য’ হবে না―সেটা তো হতেই পারে না। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফি থেকেই দুই দলের লড়াইটা উত্তাপ ছড়ায়। বাংলাদেশের একটা করে উইকেট পড়ছিল আর গ্যালারিতে দেখা যাচ্ছিল সেই নাচ। ৫ উইকেটের বড় পরাজয়ে এশিয়া কাপ শুরু হলো বাংলাদেশের।

ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে তেমন চ্যালেঞ্জ জানাতেই পারেনি টাইগারর বোলাররা। তবু সাকিব-তাসকিন-শরীফুলরা কিছু রোমাঞ্চকর মুহূর্ত এনে দিয়েছেন। রান তাড়ায় নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই আরেক ওপেনার দিমুথ করুণারত্নেকে (১) বোল্ড করে দেন তাসকিন আহমেদ।

১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। পরের ওভারেই ফের সাফল্য। তরুণ পেসার শরীফুল ইসলামের বলে অসাধারণ ক্যাচ নেন মুশফিক। পাথুম নিশাঙ্কা ফিরেন ১৩ বলে ১৪ রান করে। এরপর মঞ্চে অধিনায়ক সাকিব। তার ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে যান কুসল মেন্ডিস (৫)। ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এরপর সাদিরা সামারাবিক্রমা এবং চারিথ আসালাঙ্কা মিলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। ৫৯ বলে ফিফটি তুলে নেন সামারাবিক্রমা।

চতুর্থ উইকেটে ৭৮ রানের এই জুটি ভাঙে সামারাবিক্রমার বিদায়ে। শেখ মেহেদির করা ৩০তম ওভারে ৭৭ বলে ৬ চারে ৫৪ রান করে তিনি মুশফিকের দারুণ স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। পরের ওভারে এসেই দ্বিতীয় শিকার ধরেন সাকিব। ২ রানে বোল্ড হয়ে যান অভিজ্ঞ ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। যদিও এতে শ্রীলঙ্কার জয় আটকানো যায়নি। ৮৫ বলে ফিফটি তুলে নেন আসালাঙ্কা। ৩৯ ওভারেই ৫ উইকেট হাতে রেখে জিতে যায় শ্রীলঙ্কা।

৯২ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন আসালাঙ্কা। তার সঙ্গী শানাকা অপরাজিত ২১ বলে ১৪ রানে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছে ৩৭ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব। একটি করে নিয়েছেন তাসকিন, শরীফুল ও শেখ মেহেদি। এর আগে পাল্লেকেলেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২.৪ ওভারে মাত্র ১৬৪ রানে অল-আউট হয় সাকিব আল হাসানের দল।

মহিশ থিকশানার করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই এলবিডাব্লিউ হন অভিষিক্ত তানজিদ তামিম (০)। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ দীর্ঘদিন পর ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েও আউট হন ২৩ বলে ১৬ রানে। অধিনায়ক সাকিব ৫ রানে ফিরলে ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এমতাবস্থায় নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তাওহীদ হৃদয়ের ৫৯ রানের জুটি আশা জাগিয়েছিল। সেই আশা দুরাশায় পরিণত হয় ৪১ বলে ২০ রান করা হৃদয়ের বিদায়ে।

রিভিউ নিয়ে তাকে লেগ বিফোর করে শ্রীলঙ্কা। ৯৫ রানে বাংলাদেশের ইনিংসের অর্ধেক শেষ হলে শান্তর সঙ্গী হন মুশফিক। এই জুটিও সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। কিন্তু পারলেন না মুশফিক। পাথিরানার বলে করুণারত্নের তালুবন্দি হওয়ার আগে করেন এক বাউন্ডারিতে ১৩ রান। পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙে ৩২ রানে। সঙ্গীহীন হয়ে পড়েন শান্ত।

পরের ব্যাটারদের মধ্যে মিরাজ (৫), শেখ মেহেদি (৬) কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত শান্তর ১২২ বলে ৭ চারে ৮৯ রানের ইনিংস শেষ হয় মহিশ থিকশানার বলে বোল্ড হয়ে। এরপর পাথিরানার বলে মুস্তাফিজ (০) এলবিডাব্লিউ হলে ৪২. ৪ ওভারে ১৬৪ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। পাথিরানা নেন ৩২ রানে ৪ উইকেট। এ ছাড়া ২ উইকেট নেন মাহিশ থিকশানা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password