করোনার সংক্রমণ রুখতে সরকারঘোষিত ৭ দিনের লকডাউন তামাশায় পরিণত হয়েছে

করোনার সংক্রমণ রুখতে সরকারঘোষিত ৭ দিনের লকডাউন তামাশায় পরিণত হয়েছে

করোনার সংক্রমণ রুখতে সরকারঘোষিত ৭ দিনের লকডাউন তামাশায় পরিণত হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউন কিংবা শাটডাউন তামাশায় পরিণত হয়েছে। এতে সরকারের অযোগ্যতার প্রমাণ মিলেছে। জবাবদিহি না থাকায় লকডাউন সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়েছে।সাধারণ জনগন এতে ক্ষিপ্ত।

আজ (২৭জুন) রবিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বি এন পির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এইসব কথা বলেন। এ সময় ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা না করে আর অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্য নগদ টাকা ট্রান্সফারের ব্যবস্থা না করে লকডাউন কখনোই কার্যকর হবে না। মানুষ ক্ষুধার তাগিদে কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়বে।

তাছাড়াও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারের কোনো সুপরিকল্পিত কর্মসূচি নেই। নেই কোনো পরিকল্পনা। এদিকে করোনার রোগীর চাপে সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় জরুরি চিকিৎসার উপকরণ ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। নেই করোনা টিকার বিকল্প ব্যবস্থা।

রেমডেসিভির কেনো ইনজেকশন নেই। করোনা পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কিট নেই। ভেন্টিলেটর, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা নেই। এমনকি দেশে পর্যাপ্ত আইসিইউ শয্যা, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর নেই। অথচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব ব্যবস্থা আছে বলে প্রতিনিয়ত মিথ্যা খবর প্রচার করে আসছে।

তিনি আরো বলেন জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, অক্সিজেনের অভাবে অনেকে মারা যাচ্ছেন। অথচ সরকার সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। শনিবার বিকেলে বিএনপির সর্বোচ্চ ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভার সিদ্ধান্ত জানাতে দলটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, স্থায়ী কমিটির ওই সভায় রাজধানী ও সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় ভারত থেকে ছড়ানো করোনার ডেল্টা ধরন ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনে করেন, এই সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ও নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। অন্যথায় বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।। দেশের মানুষের জন্য সরকার কোনো কাজ করতে পারছে না। মির্জা আলমগীর অটো-রিকশা ভ্যান নিষিদ্ধ করারও সমালোচনা করেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password