পিবিআই গাজীপুর কর্তৃক ১২ ঘন্টার মধ্যেই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

পিবিআই গাজীপুর কর্তৃক ১২ ঘন্টার মধ্যেই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
পিবিআই গাজীপুর কর্তৃক ১২ ঘন্টার মধ্যেই ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার-০১
গাজীপুরে প্রথম পরিচয়ে কাজ দেওয়ার কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে বলাৎকার করতে গিয়ে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন আল-আমিন (৩৫) নামক পান-সিগারেট এর দোকানী। এক দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার ও ভিকটিমের মোবাইল উদ্ধার করেছে পিবিআই গাজীপুর জেলা। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলো মোঃ মাইদ হোসেন (২২)। গত ৭ এপ্রিল ২০২৫ দিবাগত রাতে তাকে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ৭ এপ্রিল ২০২৫ সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানা পুলিশ ভাড়া বাসা থেকে ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করে। পিবিআই গাজীপুর জেলার ক্রাইমসিন টীম ঘটনাস্থলে যায় এবং ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে।
ভিকটিমের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে জিএমপি বাসন থানার মামলা নং-১১, তাং-০৭/০৪/২৫ খ্রি., ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন। মামলার করার দিবাগত রাতে পিবিআই গাজীপুর জেলা ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং মামলাটি অধিগ্রহণ করে। পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমান মামলাটি তদন্ত করছেন। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মাইদ হোসেনকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে সে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ এর ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করে।
আসামীর কাঃ বিঃ এর ১৬৪ ধারায় স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনায় জানা যায় যে, ভিকটিম মোঃ আল আমিন গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তায় পান, সিগারেট এর দোকান নিয়ে ব্যবসা করতো। বাড়ী থেকে রাগ করে চলে এসে গত ৩ এপ্রিল ২০২৫ আসামী মোঃ মাইদ হোসেন ভিকটিম মোঃ আল আমিন এর নিকট কাজ চায়। মোঃ আল আমিন কাজ দেওয়ার কথা বলে আসামী মোঃ মাইদ হোসেনকে তার বাসায় নিয়া যায় এবং এক সাথে একই বিছানায় ঘুমায়। গত ৫ এপ্রিল ২০২৫ দিবাগত রাতে মোঃ আল আমিন আসামী মোঃ মাইদ হোসেনকে বলাৎকারের চেষ্টা করে। মাইদ হোসেন ব্যাথা সইতে না পেরে মোঃ আল আমিনকে দুই হাত দিয়ে গলা টিপে হত্যা করে। এরপর গলায় একটা গামছা পেঁচিয়ে বিছানায় ফেলে রেখে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password