কাশি সারানোর ঘরোয়া উপায়

কাশি সারানোর ঘরোয়া উপায়
MostPlay

অনেকেই কাশির সমস্যায় ভুগছেন দীর্ঘদিন। চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে অনেকে কাশিকে অবহেলা করেন, তা শুকনো কাশি হোক আর কফযুক্ত কাশি। তবে কাশিকে অবহেলা করা উচিত নয়। কাশি সারাতে আপনি কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিতে পারেন।স্বাস্থ্য ও জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে কাশি সারানোর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির বর্ণনা করা হয়েছে।

আসুন, সে সম্পর্কে জেনে নিই :

শিউলিপাতার রস

অনেকের বাড়িতে শিউলি ফুলগাছ থাকে। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে গাছ থেকে দু-তিনটি পাতা তুলে নিন। ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর মুখে পুরে নিন। ভালো করে চিবিয়ে যতটুকু রস আছে খান, পরে ফেলে দিন ছিবড়ে। এটি নিয়মিত খেলে কাশির দমক কমবে। যদিও শিউলিপাতার রস একটু তেতো।

তুলসীপাতা

কাশির সমস্যা মেটাতে অন্যতম ভেষজ তুলসীপাতা। তুলসীপাতা কাশি ও কফ দূর করতে অত্যন্ত উপকারী। সকালে ঘুম থেকে উঠে গাছ থেকে আট-দশটা ছোট তুলসীপাতা তুলে ভালো করে ধুয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। তুলসীপাতায় অ্যান্টিটিউসিভ ও এক্সপেকটোরেন্ট নামক দুটি উপাদান থাকে, যা বুকে জমে থাকা কফকে তরল করে বের করতে সাহায্য করে।

মধু

কাশির সমস্যা মেটাতে কার্যকর মধু। কাশি যদি খুশখুশে প্রকৃতির হয়, তবে প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খান। প্রথমে আদা থেতো করে একচামচ রস বের করে নিন। এরপর এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। নিয়মিত এটি মেনে চললে কয়েক দিনের মধ্যে কাশি কমে যাবে। বুকে যদি কফ জমে থাকে, তবুও মধু সমান কার্যকর। এ ক্ষেত্রে মধু খাওয়ার পদ্ধতি অন্যরকম। মধু খেতে হবে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানির সঙ্গে মিশিয়ে, অথবা সকালে চায়ের সঙ্গেও খেতে পারেন। গরম পানি বা চায়ের সঙ্গে মধু খেলে বুকে জমা কফ দূর হবে।

আনারস

আনারসে এমন একটি উপাদান থাকে, যা গলায় জমে থাকা মিউকাসকে পরিষ্কার করে। এই মিউকাসের জন্যই সাধারণত কাশি হয়। আনারসের এই উপাদানের নাম ব্রোমেলাইন। এটি শুধু আনারসেই মেলে।

গার্গল করুন

অল্প গরম পানিতে আধা চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন। এতে গলার খুশখুশ ভাব কমে যাবে, কফও সহজে বেরিয়ে আসবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password