যেভাবে হেলালকে হত্যা করে ৩ টুকরো করা হয়

যেভাবে হেলালকে হত্যা করে ৩ টুকরো করা হয়

মাত্র ৪৩ হাজার টাকার জন্য পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় আজমপুরের ব্যবসায়ী হেলালকে। হত্যাকারী বন্ধু রূপমকে এখনও খুঁজছে পুলিশ। তার স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি স্বীকার করেছে হত্যার কথা। এদিকে সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছে হেলালের বস্তাবন্দী লাশ নিয়ে যাওয়ার চিত্র।চায়ের সাথে মেশানো হয় ঘুমের ওষুধ। তারপর শ্বাস রোধে হত্যার পর লাশের তিন টুকরো বস্তায় ভরে নিয়ে যাওয়ার চিত্র ধরা পড়ে সিসিটিভিতে।

মাত্র ৪৩ হাজার টাকার জন্য আজমপুরের ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী হেলালের এই পরিণতি করে বন্ধু চার্লস রুপম। মাত্র ২৫ বছর বয়সী হেলালকে হত্যাকারীর সর্বোচ্চ সাজা চাইলো অসহায় পরিবার।হেলালের ভাই বলেন, যারা আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি চাই।এরই মধ্যে হত্যায় সহযোগী রুপনের স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল আসামিকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ।

ডিউটি অফিসার অনুজ কুমার সরকার বলেন, আসামি ধারণা করেছে হেলাল অনেক টাকার মালিক। এজন্য ঘটনার দিয়ে মেসেঞ্জারে কল দিয়ে এওটি ফটোস্ট্যাট মেশিন বিক্রি করবে এমন কথা জানিয়ে তাকে বাসায় ডেকে আনে। এরপর ঘুমের ওষুধ মেশানো চা খাওয়ায়। একটা পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রী মিলে ডিশের তার দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

১৪ জুন দুপুরের পর নিখোঁজ হয় হেলাল। ১৫ জুন দক্ষিণখান ও উত্তরা থেকে পুলিশ হেলালের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হেলালের বড় ভাই দক্ষিণখান থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password